অমিত-মুকুল সাক্ষাত, ধর্মতলার তারিফ আমেদাবাদে
গুজরাটে ভোটপ্রচারে মুকুল রায়। আমেদাবাদ বিমানবন্দরে দেখা হল অমিত শাহের সঙ্গে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ধর্মতলায় মুকুলের অভিষেক সভা নিয়ে এখনও সরগরম রাজ্য রাজনীতি। সেই সভার রেশ কাটিয়ে এবার বিজেপির 'কেন্দ্রীয় নেতা' মুকুল পাড়ি দিলেন ভোটমুখী গুজরাটে। আর মোদী-শাহের রাজ্যে পা রাখতেই রবিবার আমদাবাদ বিমানবন্দরে মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল অমিত শাহের। সূত্রের খবর, মুকুলকে দেখা মাত্রই স্মিত হেসে তাঁর প্রশংসা করেছেন অমিতভাই। দলের সর্বভারতীয় সভাপতির কাছ থেকে উত্সাহ পেয়ে দৃশ্যতই খুশি বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
শুক্রবার রানি রাসমণি রোডে বিজেপির সভায় মুকুলই ছিলেন মধ্যমণি। সেদিনের জনসভায় যা লোক হয়েছিল সাম্প্রতিককালে বিজেপির কোনও সভায় ততটা জনসমাগম দেখা যায়নি। মুকুলের প্রচুর কাট আউটও দেখা গিয়েছিল সমাবেশে। আর সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছিল মুকুলের 'বিস্ফোরণ'। তাঁর এমন 'আবির্ভাবে' খুশি হয়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বও। তাঁরাও মনে করছেন, মুকুলের অনুগামীরাই সভায় ভিড় বাড়িয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, তৃণমূল ত্যাগী এই প্রাক্তন সাংসদকে দলে নেওয়ার বিষয়ে দোটানায় ছিল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ব্যক্তিগত উদ্যোগেই গেরুয়া শিবিরে প্রবেশ করেন একদা তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড, এমনটাই শোনা যায়। ফলে মুকুল কেমন 'পারফর্ম' করেন, তা নিয়ে সেদিন উত্কন্ঠায় ছিলেন কৈলাসও। কিন্তু সভায় এসে 'মুকুল ম্যাজিক' চাক্ষুষ করে তত্ক্ষণাত্ তৃণমূল ছেড়ে আসা নেতাকে বুকে টেনে নেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। আর তারপর অভিষেক ম্যাচে মুকুলের টি-টোয়েন্টির ঢঙে ব্যাটিংয়ের খবর দিল্লিতে পৌঁছে যায় দ্রুতই। ফলে, মুকুলকে নিয়ে যারপরনাই খুশি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বও।
ধর্মতলায় ব্যাট করে এবার মুকুল রায় নামবেন গুজরাটের পিচে। মোদী-শাহের রাজ্যে ভোটপ্রচারের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। এমনিতে মুকুলকে সর্বভারতীয় নেতা হিসেবেই দেখছে দিল্লির ১১ নম্বর অশোক রোড। এদিন আমদাবাদ বিমানবন্দরে তাঁর সঙ্গে দেখা হল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের। সূত্রের খবর, ধর্মতলার সভায় মুকুল যেভাবে শাসক দলকে আক্রমণ শানিয়েছেন, পিঠ চাপড়ে তার তারিফও করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি। পাশাপাশি সভার জমায়েত নিয়েও অমিত সন্তোষপ্রকাশ করেছেন। দলের সেনাপতির বাহবা পেয়ে স্বভাবতই খুশি মুকুল রায়।