নিজস্ব প্রতিবেদন:  তাঁরা যুযুধান। প্রতিপক্ষের নতুন পদ লাভ উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও তার পাল্টা ধন্যবাদের টুইটে সোশ্যাল সাইটে যতই সৌজন্যের ছাপ পড়ুক, রাজনীতির মঞ্চে এক অপরকে বিঁধতে কোনও কসুর করছেন না মোদী-রাহুল। একদিকে কংগ্রেসকে বিঁধতে যখন ‘ব্লু হোয়েল’ খোঁচা দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী, অন্যদিকে আমেদাবাদের মাটিতে দাঁড়িয়েই বিজেপিকে ‘ন্যানো’-বাণে বিঁধছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ‘কংগ্রেস ব্লু হোয়েল গেম খেলছে, ফাইনাল এপিসোড ১৮ ডিসেম্বর’, মন্তব্য মোদীর


আমেদাবাদের মঞ্চ থেকে মোদীকে বিঁধে রাহুল বলেন, ‘ন্যানো কারখানায় খরচ হয়েছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু রাস্তায় একটাও ন্যানো গাড়ি চোখে পড়ে না কেন?’ এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, ‘২ কোটি ছেলের কর্মসংস্থানের আশ্বাস, কিন্তু কাজ কোথায়? কোনও প্রতিশ্রুতিই পূরণ করেননি মোদীজি।‘


প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের সিঙ্গুর ছাড়ার পর টাটাকে সাদরে আমন্ত্রণ জানান নরেন্দ্র মোদী। ২০১২-র ভোটে ন্যানো কারখানার স্বপ্ন ফেরি করেছিলেন তিনি। দিয়েছিলেন কর্মসংস্থানের আশ্বাস। কিন্তু প্রতিশ্রুতির ঢক্কানিনাদে চিঁড়ে ভেজেনি এতটুকুও। আজও কাজ পাননি সানন্দে জমিহারারা। আহমেদাবাদ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে সানন্দে টাটাদের কারখানা তৈরি হয়েছে বটে। কিন্তু আধপেটা খেয়ে থাকতে হচ্ছে জমিদাতাদের। আর এবারের নির্বাচনে 'ন্যানো’কেই তাই প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার করেছে প্রধান বিরোধী শিবির কংগ্রেস।


আরও পড়ুন: শেষ প্রচার : মন্দিরে মশগুল নমো-রাগা


মোদীকে কটাক্ষ করে রাহুল এদিন বলেন, ‘প্রতিরক্ষা ইস্যুতে তুঘলকি চাল কেন? কৃষি ঋণ মুকুব করা হয় না, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কথা ভাবা হয় না। বিদ্যুত্, জল শুধু শিল্পপতিদের জন্য, সাধারণ মানুষের জন্য কিছু নেই।‘


নির্বাচনের শেষ ধাপ ১৮ ডিসেম্বর। অর্থাৎ, ওই দিনই ফল প্রকাশিত হবে। রাহুলের দাবি, সেদিনই হবে পরিবর্তন। ক্ষমতায় এলে পরিবর্তন হবে আমেদাবাদেও।


দুর্নীতি ইস্যুতেই মোদীকে তোপ দাগেন রাহুল। তিনি সুর চড়ান, ‘আগে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির কথা বলতেন, এখন আর দুর্নীতির কথা বলেন না তিনি। কেন ভেবে দেখেছেন?’  উত্তর দেওয়ার ঢঙে এরপরই তিনি বলেন, ‘বন্ধু শিল্পপতিদের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। চুক্তিপত্র স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দিচ্ছেন।‘