নিজস্ব প্রতিবেদন: সাংবাদিক হত্যা মামলায় ডেরা সচ্চা সওদার প্রধান গুরমিত রাম রহিম-সহ চার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল পঞ্চকুলার বিশেষ সিবিআই আদালত। সাজা ঘোষণা হবে ১৭ জানুয়ারি। ২০০২ সালে খুন হন সাংবাদিক রামচন্দ্র ছত্রপতি। পরের বছর হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার দেওয়া হয় সিবিআইয়ের হাতে। ২০০৬ সালে রাম রহিমের গাড়ির চালকের বয়ানের পর  খুনে রাম রহিমের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০০২ সালের ২৪ অক্টোবর 'পুরা সচ' পত্রিকার সাংবাদিক রামচন্দ্রকে প্রকাশ্যে গুলি করে করে কুলদীপ ও নির্মল। ২১ নভেম্বর দিল্লির হাসপাতালে মৃত্যু হয় রামচন্দ্রের। মামলা দায়েরর সময় রাম রহিমের নাম ছিল না এফআইআরে। ২০০৩ সালে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। ২০০৬ সালে স্বঘোষিত ধর্মগুরু খট্টা সিংয়ের বয়ানের ভিত্তিতে রাম রহিমের নাম সামিল করা হয় অভিযুক্তের তালিকায়। ২০০৭ সালে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। 



রাম রহিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীকে চিঠি লিখেছিলেন সাধ্বীরা। সেই চিঠি নিজের পত্রিকায় ছাপান রামচন্দ্র। শুধু ছাপাই নয়, সেই চিঠি যাতে প্রধানমন্ত্রীর দফতর, সিবিআই ও আদালত পর্যন্ত পৌঁছয়, তাও নিশ্চিত করেছিলেন ওই সাংবাদিক। সাধ্বীদের ধর্ষণ মামলায় ২০১৭ সালে রাম রহিমকে ২০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। রোহতকের সুনারিয়া জেলে বন্দি রয়েছেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু। 


আরও পড়ুন- এক রাতে ৫০০০টা মুকুল, সৌমিত্র তৈরি করতে পারবে মমতা: অভিষেক


ধর্ষণ মামলায় রাম রহিম দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর হরিয়ানাজুড়ে হিংসা ছড়িয়েছিল রামরহিম ভক্তরা। সেই ঘটনার পর এদিন বিশাল পুলিস বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিল পঞ্চকুলা আদালত চত্বর। হরিয়ানার পঞ্চকুলা, সিরসা ও রোহতক জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিসের দাঙ্গা দমন বাহিনী।