চাঁদ নয়, `বাবা`র মুখ দেখেই করবাচৌত পালন করতেন সাধ্বীরা!
সংবাদ সংস্থা: রাম রহিম নাকি তাঁর 'বাবা'। অথচ প্রতিবার করবাচৌতের সময়ে তার জন্যই ব্রত রাখতেন হানিপ্রীত। সব নিয়ম মেনে সারাদিন উপবাস থাকতেন। সন্ধ্যায় চাঁদের বদলে 'পালিত বাবা' রাম রহিমের মুখ দেখেই জল খেতেন হানিপ্রীত। 'বাবা-মেয়ের' সম্পর্কে উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
তবে এবছর পুলিস হেফাজতে হানিপ্রীত। এবার কি তবে জেলে বসেই 'বাবা'র জন্য করবাচৌতের ব্রত রাখলেন হানিপ্রীত? জেল কর্মীরা জানাচ্ছেন, এবার কোনও ব্রতই রাখেননি হানিপ্রীত। বরং অন্যান্য দিন যা খাবার খান, তার থেকে অনেক বেশি খাবার খেয়েছেন তিনি। বিষয়টি দেখে অবাক হয়ে গিয়েছেন জেল কর্মীরাও।
অন্যদিকে, রাম রহিমের কুকীর্তির আরও এক তথ্য সামনে এসেছে। একাধিক হিন্দি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ডেরার এক প্রাক্তন অনুগামী জানিয়েছেন, প্রতিবার করবাচৌতের সময় নাকি নিজেই 'চাঁদ' সাজত রাম রহিম। আর তার পিছনেও ছিল তার যৌন উন্মাদনা। কারণ এইভাবেই ডেরার সাধিকাদের কাছে আসতে বাধ্য করত সে।
করবাচৌতের সময়ে কী হত ডেরায়?
ডেরার ওই অনুগামী জানিয়েছেন, প্রতিবার করবাচৌতে ডেরার প্রত্যেক সাধিকাকে ব্রত পালনে বাধ্য করত রাম রহিম। করবাচৌত ব্রত অনুযায়ী, এই ব্রতে সারাদিন উপবাস থেকে সন্ধ্যায় চাঁদের মুখ দেখেই স্বামীর মুখ দেখতে হয়। কিন্তু ডেরার ক্ষেত্রে গোটা নিয়মটাই ছিল উল্টো। ডেরাতে ব্রতপালনকারীদের উপোস ভাঙার পর চাঁদের বদলে রাম রহিমের মুখ দেখতে হত। তারপরই তাঁরা জল পান করতে পারতেন।
প্রশ্ন উঠছে, হঠাত্ এমন আজগুবি নিয়ম কেন চালু করেছিল রাম রহিম?
ডেরার ওই সদস্যের দাবি, রাম রহিমের সবসময়ই বিভিন্ন অছিলায় সাধ্বীদের কাছে টানতে সাহায্য করত, এটা তারই একটা উপায় মাত্র।