জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিখ্যাত কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশে অবস্থিত শহরের জ্ঞানবাপি মসজিদের অভ্যন্তরে উপাসনার অধিকার চেয়ে পাঁচ হিন্দু মহিলার দায়ের করা মামলাটি "মেন্টেনেবল" কিনা সেই বিষয়ে সোমবার সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে মনে করা হচ্ছে বারাণসী আদালতের সবথেকে বরিষ্ঠ বিচারপতি। জেলা বিচারক এ কে বিশ্বেশা সম্ভবত এই বিষয়ে আদেশ দেবেন যে মহিলাদের দ্বারা করা মামলার শুনানি চলবে নাকি এর কোনও আইনি অবস্থান থাকবে না। এই মামলার ফলে জ্ঞানবাপি মসজিদের অভ্যন্তরে একটি সমীক্ষার করা হয়। মে মাসে, সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি বারাণসী জেলা বিচারকের আদালতে অর্পণ করে। একটি নিম্ন আদালত থেকে এই আদালতে স্থানান্তরিত হয় এই মামলা। এর আগে পর্যন্ত নিম্ন আদালতে শুনানি চলছিল মামলাটির।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় যে, ‘বিষয়টির জটিলতা এবং সংবেদনশীলতাকে বিবেচনায় রেখে, বারাণসীতে দেওয়ানী বিচারকের সামনে দেওয়ানী মামলার শুনানি হবে উত্তর প্রদেশের বিচারিক পরিষেবার একজন সিনিয়র এবং অভিজ্ঞ বিচার বিভাগীয় অফিসারের সামনে’।


মামলায় সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের এক মাস আগে, বারাণসীর সিভিল কোর্ট জ্ঞানবাপি মসজিদের চিত্রগ্রহণের নির্দেশ দেয়। হিন্দু মহিলাদের আবেদনের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারা দাবি করে যে জ্ঞানবাপি মসজিদ কমপ্লেক্সে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে।  


পরবর্তীকালে মসজিদে চিত্রগ্রহণের একটি প্রতিবেদন বারাণসী আদালতে একটি সিল কভারে জমা দেওয়া হয়। কিন্তু হিন্দু পক্ষের আবেদনকারীরা বিতর্কিতভাবে কয়েক ঘন্টা পরেই এর রিপোর্ট বিশদে প্রকাশ করে দেয়।


প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে মসজিদ কমপ্লেক্সের মধ্যে একটি পুকুরে একটি "শিবলিঙ্গ" পাওয়া গিয়েছে। এই পুকুর মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনার আগে ‘ওয়াজু’ অথবা শুদ্ধিকরণ আচারের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই সময় মামলার বিচারক পুকুরটি সিল করার নির্দেশ দেন।


আরও পড়ুন: IAS: রেলের কুলি হলেন আইএএস অফিসার, শ্রীনাথের জীবন যেন রূপকথা


শতাব্দী প্রাচীন এই মসজিদের ভিতরে এই চিত্রগ্রহণকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিল জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটি। আবেদনকারীরা বলেছেন যে চিত্রগ্রহণটি ১৯৯১ সালের উপাসনার স্থান আইনের বিরুদ্ধে। এই আইন ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট পর্যন্ত যেকোনও উপাসনালয়ের ধর্মীয় মর্যাদা বজায় রাখে বর্তমানে।


মসজিদ কমিটি যুক্তি দিয়েছিল, ‘এই ধরনের আবেদন এবং মসজিদগুলি সিল করা জনসাধারণের মধ্যে বিরুপ ধারণা তৈরি করবে এবং সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি করবে, সারা দেশের মসজিদগুলিকে প্রভাবিত করবে’।


মসজিদ কমিটি জানায় যে "মেন্টেনেবিলিটি" মামলায় বারাণসী জেলা বিচারকের আদালতে প্রায় একই যুক্তি দিয়েছিল, যখন হিন্দু আবেদনকারীদের আইনজীবীরা দাবি করে যে আইন তাদের মামলায় বাধা দেয় না এবং তারা আদালতে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে যে স্বাধীনতার দিন মসজিদ প্রাঙ্গণটি আসলে একটি মন্দির ছিল।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)