নিজস্ব প্রতিবেদন: চিন ভারতের লড়াই শুধু এলএসি-তেই যে সীমাবদ্ধ, তা কিন্তু নয়। সেটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। এবং প্রায় নিত্যদিনই নতুন করে হচ্ছেও। বেশ কিছু দিন ধরেই বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে, একটি চিনা তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির উপর গোপনে নজরদারি চালাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জলঘোলা হচ্ছে। বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়ছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবার অবশেষে জবাব মিলল সরকারের তরফে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চিনা সাইবার নজরদারির অভিযোগের প্রসঙ্গে সাফাই দিল কেন্দ্র। সরকারি সূত্রের খবর, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কংগ্রেস সাংসদ বেণুগোপালকে একটি চিঠিতে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ওই চিনা সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। বেণুগোপাল ওই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার কথা দিয়েছে, একমাসের মধ্যেই এ সংক্রান্ত সঠিক তথ্য জানা যাবে।


চিনের তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা শেনহুয়া ডেটা ইনফরমেশন টেকনোলজির কেন ভারতের ওপর এই নীরব গোপন ঠান্ডা জটিল নজরদারি? সেটা অবশ্য ওই সংস্থাই বলতে পারবে। তবে শুধু ভারত নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই তারা এই রকম নজরদারি চালাচ্ছে বলে আন্তর্জাতিক পরিসর থেকে বারবার অভিযোগ উঠছে। চিনা তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাটি ভারতের প্রশাসন, রাজনীতি, বাণিজ্য, গণমাধ্যম এরকম বেশ কিছু ক্ষেত্রের বেশ কয়েক হাজার হুজ হু-র ওপর বহুদিন ধরেই এই নজরদারি চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। অবশেষে যে কেন্দ্রীয়  সরকার এই বিষয়টা নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে, সেটাই এলএসি নিয়ে ভারত-চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে চলতে থাকা এই টানাপড়েনের বিষাক্ত আবহাওয়ার মধ্যে ভারতীয়দের পক্ষে একটা স্বস্তি ও সুখের খবর। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি কো-অর্ডিনেটরের নেতৃত্বাধীন একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি বিষয়টির তদন্ত চালাবে।


বিদেশমন্ত্রকের সূত্রে এ ক্ষেত্রে চিনের যে বক্তব্য জানা যাচ্ছে, তাতে ভারতবাসীর গা জ্বালা-জ্বালা করে ওঠারই কথা। ভারতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে চিনের দায় ও দায়িত্ব সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন। তাঁর যুক্তি, উক্ত সংস্থাটি যেহেতু বেসরকারি সেহেতু চিন সরকারের এখানে কিছুই বলার নেই। তাই নাকি? নিন্দুকেরা কিন্তু অন্য কথা বলছে। তাঁরা বলছে, চিনের সরকার ওই সংস্থার তরফে জোগাড় করা সমস্ত বৈদেশিক তথ্য নিজেদের হস্তগত করে নেয়। 


কিন্তু চিনের বক্তব্য যা-ই হোক। ভারতের মনোভাব এবং পদক্ষেপ এ ক্ষেত্রে খুবই ইতিবাচক। এবং আশা করা যায়, চিনের এই আচরণ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কড়া সমালোচনার লক্ষ্য হিসেবেই এখন থেকে যাবে।