মেয়ে লভ জিহাদের শিকার বলে সোচ্চার হয়েছিলেন, বিজেপিতে যোগ দিলেন সেই হাদিয়ার বাবা
গত বছর অগাস্টে কেরল লভ জিহাদ মামলার তদন্তভার NIA-কে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে NIA জানায়, কেরলে যুবতীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্মান্তরণের একটি চক্র চলছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দিলেন কেরল 'লভ জিহাদ' মামলার অভিযোগকারী কেএম গণেশন। তাঁর মেয়ে আকিলা ওরফে হাদিয়া লভ জিহাদের শিকার বলে দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। তাঁর দাবি ছিল, মগজধোলাই করে মেয়েকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করে তাঁকে বিয়ে করেছেন শফিন জাহাঁ নামে এক মুসলিম যুবক। ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় পরে। ঘটনার তদন্তভার রয়েছে NIA-র হাতে। অবশেষে বিজেপির সদস্যপদ গ্রহণ করলেন হাদিয়ার বাবা।
কেরল হাইকোর্ট গণেশনের অভিযোগকে স্বীকৃতি দিয়ে আকিলার বিয়েকে লভ জিহাদের ঘটনা বলে দাবি করলেও সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দেয়। গত ৮ মার্চ এক রায়ে সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে দেয়, প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের ধর্ম ও জীবনসঙ্গী নির্বাচনের অধিকার দেয় দেশের সংবিধান। তবে ঘটনায় NIA তদন্ত জারি রাখতে পারে বলে নির্দেশ দেন বিচারপতিরা।
তিন তালাক দিলে তিন বছরের জেল! নয়া বিল পেশ লোকসভায়
গত বছর অগাস্টে কেরল লভ জিহাদ মামলার তদন্তভার NIA-কে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে NIA জানায়, কেরলে যুবতীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্মান্তরণের একটি চক্র চলছে।
হাদিয়া মামলাকে লভ জিহাদের ঘটনা বলে মেনে নিয়ে কেরল হাইকোর্ট তাঁকে বাবা-মায়ের কাছে ফিরে যেতে নির্দেশ দেয় আদালত। গত বছর ২৭ নভেম্বর হাদিয়াকে বাবা মায়ের কাছে ফেরত গিয়ে পড়াশুনো শেষ করতে বলেন বিচারপতিরা। যদিও হাদিয়ার দাবি ছিল, তিনি তাঁর স্বামী শফিন জাহাঁর কাছে থাকতে চান।
সুপ্রিম কোর্ট কেরল হাইকোর্টের রায় খারিজ করলে হাদিয়া সংবাদমাধ্যমকে জানান, 'যাবতীয় ঘটনার মূলে আমার ইসলাম গ্রহণের সিদ্ধান্ত। আমাদের দেশের সংবিধান প্রত্যেক নাগরিককে তার ধর্ম নির্বাচনের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়।'