নিজস্ব প্রতিবেদন- সর্ষের মধ্যেই ভূত! পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে ভারতীয় যুদ্ধবিমান সম্পর্কিত তথ্য পাচার করত হিন্দুস্তান এরোনটিক্স লিমিটেডের এক কর্মচারী। মহারাষ্ট্র পুলিস জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি গত কয়েক মাস ধরেই পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স-কে ভারতীয় যুদ্ধবিমান সম্পর্কিত গোপন তথ্য পাচার করত। পুলিস তাঁকে আটক করে জেরা শুরু করেছে। তাঁর সঙ্গে আর কোনও কর্মচারী জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে মহারাষ্ট্রের পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি পাকিস্তানের আইএসআই এজেন্ট হিসেবে কাজ করত। পাকিস্তানে থাকা আইএসআই কর্তাদের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ হত। বহুদিন ধরেই ভারতীয় যুদ্ধবিমান-এর গোপন তথ্য ফাঁস হচ্ছে বলে আন্দাজ করেছিল এটিএস। এরপরই anti-terrorist স্কোয়াড ওই ব্যক্তিকে খোঁজার জন্য তৎপর হয়ে ওঠে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নাসিক থেকে এই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে মহারাষ্ট্রের পুলিস ও  এটিএস। নাসিকে এইচএএল ওয়ার্কশপে কাজ করত ওই কর্মচারী। ভারতীয় যুদ্ধবিমান সম্পর্কে একাধিক গোপন তথ্য পাকিস্তানের আইএসআইকে সরবরাহ করেছিল এই ব্যক্তি। এছাড়া বায়ু সেনার ঘাঁটি ও বিমানে ব্যবহৃত প্রযুক্তি সম্পর্কেও আইএসআইকে একের পর এক খবর দিচ্ছিল সে।


ওই ব্যক্তির কাছ থেকে পাঁচটি সিম কার্ড ও তিনটি মোবাইল হ্যান্ডসেট এবং দুটি মেমোরি কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। ফোন এবং সিম কার্ড ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি তে পাঠানো হয়েছে। তাঁকে আগামী দশ দিন এটিএস হেফাজতে রাখা হবে। নাসিকের ওয়ার্কশপে মিগ-২১ সহ একাধিক যুদ্ধবিমান রয়েছে। এছাড়া কে-থার্টিন মিসাইলের নির্মাণ হয় সেখনে। ১৯৬৪ সালে স্থাপিত এই ওয়ার্কশপ মুম্বই থেকে প্রায় ২০০ কিমি দূরে অবস্থিত। এই ওয়ার্কশপে সুখোই বিমান পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়। তাই সেখানে হাই সিকিউরিটি জোন থাকে। এর আগেও নাসিক থেকেই আরেক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিস। তার বিরুদ্ধেও পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থাকে তথ্য পাচারের অভিযোগ ছিল।