ফঁসিই ভাল, উত্তর কেন্দ্রের
জনস্বার্থ মামলায় আবেদনকারী জানান, ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডের পদ্ধতি অত্যন্ত `অসম্মানজনক` ও কষ্টকর। তাই এই পদ্ধতিতে বদল আনা দরকার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশন 'ভাল কাজ করে না', এর চেয়ে ফাঁসিই যথার্থ। ফাঁসির পরিবর্তে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার অন্য কোনও পথ আছে কিনা জানতে চাওয়ায় সুপ্রিম কোর্টকে এমনটাই উত্তর দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া একটি জনস্বার্থ মামলায় আবেদনকারী জানান, ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডের পদ্ধতি অত্যন্ত 'অসম্মানজনক' ও কষ্টকর। তাই এই পদ্ধতিতে বদল আনা দরকার। অপেক্ষাকৃত কম সময় কষ্ট ভোগ করতে হবে এমন পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত বলেও দাবি করা হয় ওই আবেদনে। আবেদনকারীর আরও দাবি, ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড দিতে প্রায় ৪০ মিনিট সময় লাগে এবং প্রবল যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় সাজাপ্রাপ্তকে। তাই, ফাঁসির পরিবর্তে প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশক দেওয়ার মাধ্যমে, গুলি করে, গ্যাস চেম্বারে প্রবেশ করিয়ে বা ইলেক্ট্রিক শক দেওয়ার মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিকল্পের কথা ভাবা উচিত।
আবেদনকারী জানিয়েছেন, বর্তমান পদ্ধতিটি (ফাঁসি) সংবিধানের ২১ ধারা অর্থাত্ জীবনের অধিকারের পরিপন্থী। কারণ, সাজাপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রেও জীবনের অধিকার প্রযোয্য।
আরও পড়ুন- নোট বাতিলের পর কি এবার কয়েন বাতিলের পথে মোদী সরকার?
প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি এএম খানউইলকর এবং বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, তাঁরা কোনও বিকল্প পথের হদিশ দেবেন না। কেন্দ্রকেই বরং এ বিষয়ে হলফনামা দিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। এক্ষেত্রে অন্যান্য দেশে মৃত্যুদণ্ডের ক্ষেত্রে ফাঁসি ছাড়া অন্য কী কী পথ অনুসরণ করা হয় সে বিষয়েও খোঁজ নিতে বলা হয়েছে।
জনস্বার্থ মামলার আবেদনকারী ভারতীয় ফৌজদারি কার্য বিধির ৩৫৪(৫) ধারার অবলুপ্তি চেয়েছেন। এই ধারাতেই মূলত ফাঁসির প্রক্রিয়ার কথা বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি, আইন কমিশনের ১৮৭তম রিপোর্টেও যে মৃত্যুদণ্ডের বর্তমান পদ্ধতি বদলের সুপারিশ করা হয়েছিল সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন আবেদনকারী।
তবে, মোদী সরকারের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, আপাতত তাঁরা ফাঁসিতেই ভরসা রাখছে।