`দেশের রক্ষার্থে বাঁচিয়ে রাখো ওকে, ওর বেঁচে থাকা উচিত`, ঈশ্বরের কাছে শেষ ইচ্ছা ছিল হনুমন্থাপ্পার স্ত্রীর
বাস্তব বড়ই কঠিন, বড্ড রূঢ়। জীবন যুদ্ধে লড়াইয়ে কখনও জিত কখনও হার-এটাই স্বাভাবিক আর এটাই সহজ সত্য। লড়াইকে কুর্নিশ আর বাস্তবকে মেনে নেওয়াই জীবন।
ওয়েব ডেস্ক: বাস্তব বড়ই কঠিন, বড্ড রূঢ়। জীবন যুদ্ধে লড়াইয়ে কখনও জিত কখনও হার-এটাই স্বাভাবিক আর এটাই সহজ সত্য। লড়াইকে কুর্নিশ আর বাস্তবকে মেনে নেওয়াই জীবন। আবেগে ভেসে গঙ্গা কখনও মোহনায় যায় না, ওটা বিজ্ঞান। ওপর থেকে কোনও কিছু ফেলে দিলে তা মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে মাটিতেই পড়ে। ২৫ ফুট বরফের তলায় ৬টা দিন কাটিয়ে জীবন নিয়ে ফিরে আসাটাই অলৌকিক। মানুষের কাছে এটা জীবন যুদ্ধের লড়াই, আর প্রকৃতির বিরুদ্ধে মানুষের জয়। তবে কোমায় জীবন যুদ্ধে নিজেকে হারতেই হল ওনাকে। কিডনি নষ্ট। লিভার নষ্ট। ফুসফুসে নিউমেনিয়া। মাথায় পৌঁছাচ্ছে না অক্সিজেন। তাও মানুষটা লড়ে যাচ্ছিল। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। হনুমন্থাপ্পা কোপ্পাড়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন দিল্লির সেনা হাসপাতালের চিকিৎসকরা। মৃত্যু হল একটা শরীরের।
আজই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। শ্রদ্ধার্গ্য অর্পণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সেনা প্রধান দলবীর সিং সোহাগ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। টুইটারে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোকস্তব্ধ ক্রীড়ামহলও। টুইটে হনুমন্থাপ্পা কোপ্পাড়ের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন সচিন টেন্ডুলকার। হনুমন্থাপ্পা কোপ্পাড় শবে মাল্যদান করেছেন রাহুল গান্ধী, বিরাট কোহলি ও অন্যনরা।
চোখের জলে তাঁকে শেষবার 'আলবিদা' বললেন হনুমন্থাপ্পার স্ত্রী মহাদেবী। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন, "হে ঈশ্বর, তুমি কোনও জীবন কেড়ে নিতে চাইলে, আমার জীবন নাও। আমার স্বামীকে বাঁচিয়ে রাখো দেশের রক্ষার্থে। ওর বেঁচে থাকা উচিত"। হনুমন্থাপ্পা ঈশ্বরের খুব প্রিয় বোধহয়! 'অলৌকিকতার' পর আর কোনও আশর্য্য নয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানও হার মানল। আমরা তো চিরকালই শুনে এসেছি, 'ভগবান নিজের সবথেকে প্রিয়দের সবথেকে তারাতারি তাঁর কাছে ডেকে নেন'। তাই হল! ছোট বেলার কথাই যেন আজ সর্বত সত্য।