নিজস্ব প্রতিবেদন: পটেল সংরক্ষণের দাবিতে ১৪ দিন অনশনের জেরে স্বাস্থ্যের অবনতি হার্দিক পটেলের। শুক্রবার তাঁকে ভর্তি করাহয় অহমেদাবাদের সরকারি হাসপাতালে। সরকারি চাকরি ও শিক্ষায় সংরক্ষণ ও কৃষকদের ঋণ মকুবের দাবিতে গত ২৫ অগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন শুরু করেছেন হার্দিক পটেল। শুক্রবার তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার পর সমর্থকদের অনুরোধে হাসপাতালে ভর্তি হতে রাজি হন পাতিদার আন্দোলনের নেতা।      


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

টুইটারে হার্দিক লিখেছেন, ''অনির্দিষ্টকালীন অনশন আন্দোলনের ১৪ তম দিন শুক্রবার আমার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় অহমেদাবাদের সোলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। কিডনিতেও প্রভাব পড়েছে। এখনও পর্যন্ত কৃষক ও পটেল সম্প্রদায়ের দাবি মেনে নিতে রাজি হয়নি বিজেপি''।   



পাতিদার আনামত আন্দোলন সমিতির মুখপাত্র মনোজ পানারাকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সোনা সিবিল হাসপাতালে চিকিত্সার জন্য যেতে রাজি হয়েছেন হার্দিক পটেল। সমর্থকদের অনুরোধে এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। 


গুজরাট সরকারের উপরে চাপ বাড়াতে ২৪ ঘণ্টার চূড়ান্ত সময় দিয়েছিলেন হার্দিক পটেল। সেই সময় অতিবাহিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার থেকে জলপান বন্ধ করে দিন পাতিদার নেতা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) রাখা হয়েছে হার্দিক পটেলকে। চিকিত্সদের একটি দল তাঁকে দেখাশোনা করছে। 


তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় অনশন ভাঙার জন্য হার্দিক পটেলকে পরামর্শ দেন প্রবীণ পাতিদার নেতা নরেশ পটেল। তাঁর কথায়, ''গত ১৮ ঘণ্টা ঘরে জল পান করেননি হার্দিক। ফলে অবনিত হয় শারীরিক অবস্থার। ওঁর স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন সকলে। অনশন ভঙ্গের পরামর্শ দি আমি''। 



বৃহস্পতিবার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির সঙ্গে দেখা করে কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল। কৃষকদের ঋণ মকুব ও পটেল সম্প্রদায়ের দাবিতে একটি স্মারক দেন কংগ্রেস নেতারা। তারপর রাহুল গান্ধীর দল ঘোষণা করেছিল, হার্দিক পটেলের পাশে দাঁড়াতে শুক্রবার ২৪ ঘণ্টা ধরে রাজ্যজুড়ে প্রতীকী অনশন করবেন তাদের কর্মীরা। উল্লেখ্য, হার্দিক সরকারকে অনশন ভাঙার পরামর্শ দিয়েছিল বিজেপি সরকার। কিন্তু পাতিদার সংরক্ষণ নিয়ে নিজেদের স্পষ্ট অবস্থান মেলে ধরতে পারেনি তারা। তার আগে হার্দিকের অনশনকে কংগ্রেসের রাজনৈতিক নাটক আখ্যা দিয়েছিল বিজেপি। 


চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার গুজরাটে গিয়ে হার্দিক পটেলের সঙ্গে দেখা করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা ও বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। তাঁর পাশে থাকার বার্তা দেন বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতারা। 


আরও পড়ুন- নাবালিকা গণধর্ষণ ও খুনে ৫ মাসেই ১৯ বছরের দোষীর মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ নওগাঁ জেলা আদালতের