নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ ও সম্ভাবনা থাকায় তাঁকে রাখা হয়েছিল আইসোলেশন ওয়ার্ডে। পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল লালারসের নমুনাও। কিন্তু, রিপোর্ট আসার আগেই হাসপাতালের জানালা দিয়ে চাদর বেঁধে পালাতে গিয়ে প্রাণ হারালেন এক ব্যক্তি। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের কর্নলে। গত ১ এপ্রিল হাসপাতালে আনা হয় বছর ৫৫-এর ওই ব্যক্তিকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, পানিপথের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির জ্বর, শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক সমস্যা ছিল। তাই ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে আইসোলেশনে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে তাঁর করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে কিনা, সে বিষয়েও নিশ্চিত করতে তাঁর লালারস পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু, হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকতে চাননি ওই ব্যক্তি।


আরও পড়ুন- করোনা আক্রান্ত ৩ চিকিত্সক ও ২৬ জন নার্স, সিল করা হল ওখার্ড হাসপাতালকেই


পুলিস সূত্রে খবর, ভোর ৪টে নাগাদ বহুতল হাসপাতালের সর্বোচ্চ তলার জানালা থেকে নামার চেষ্টা করেন ওই বৃদ্ধ। বিছানার চাদর ও প্লাস্টিকের প্যাকেট পেঁচিয়ে জানালায় বেঁধে ঝুলিয়ে দেন তিনি। তার পরে দেওয়াল বেয়ে নামার চেষ্টা করতে গিয়েই পড়ে যান তিনি। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।


তবে এমন ঘটনা প্রথম নয়। রবিবার দিল্লিতেও হাসপাতালের জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে পালাতে গিয়ে গুরুতর আহত হন এক ব্যক্তি। তাঁর ক্ষেত্রেও করোনাভাইরাস টেস্টের আগেই এমন কাণ্ড ঘটে। স্বাভাবিকভাবেই, আইসোলেশন ওয়ার্ডের নজরদারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কীভাবে সবার নজর এড়িয়ে ওই রোগী বিছানার চাদর বেঁধে ফেললেন তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। আবার রোগীদের মধ্যে মানসির প্রবৃত্তি নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।