নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের কি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করল ভারত? স্পষ্ট না করলেও সেনার তরফে বড়সড় পদক্ষেপ করার ইঙ্গিত দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিং। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দু’বছর পূর্তি উপলক্ষে বিস্ফোরক দাবি রাজনাথ সিংয়ের। মুজাফ্ফরনগরে এক সভায় জম্মু-কাশ্মীরের সাম্বা জেলার সীমান্তে কনস্টেবল নরেন্দ্র সিংয়ের হত্যার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাজনাথ জানান, দু-তিন আগে বড় একটা ঘটনা ঘটেছে। যে বিষয়ে এই মূহূর্তে রাজনাথ খোলসা করতে যদিও চাননি। তবে, তাঁর দাবি, “আমাকে বিশ্বাস করুন, দু-তিন আগে বড়সড় ঘটনা ঘটেছে। যেটা এখন বলতে চাই না। এর পরও এমন পদক্ষেপ করা হবে।”


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ইমরান প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই সন্ত্রাস বেশি হচ্ছে, অভিযোগ বিএসএফ প্রধানের


গত ১৮ সেপ্টেম্বরে রামগড় সেক্টরে কনস্টেবল নরেন্দ্রের দেহ পাওয়া যায়। নরেন্দ্রকে গুলি করে গলার নালি কেটে নৃশংস হত্যা করে পাক সেনা। তার জবাবই কি এ বার ভারত দিল? রাজনাথ এ বিষয়ে জল্পনা উস্কে দিলেও এখন স্পষ্ট নয়। রাজনাথ আরও বলেন, “বিএসএফকে বলা হয়েছে পাকিস্তান প্রতিবেশী দেশ, তাই আমাদের দিক থেকে কোনও হামলা হবে না। যদি ও প্রান্ত থেকে বুলটে আসে, তা হলে জওয়ানরা যেন তার জবাব দিতে কোনও বুলেটের হিসেব না রাখে।”


উল্লেখ্য, বিএসএফ ডিরেক্টর জেনারেল কে কে শর্মা অভিযোগ করেন ইমরান খান প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার পর পাকিস্তান আরও আগ্রাসী হয়েছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিএসএফ হেড কনস্টেবল নরেন্দ্র সিংয়ের হত্যার প্রসঙ্গ টেনে কে কে শর্মা বলেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটছে ইমরান প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই। পাক বর্ডার অ্যাকশন টিম (ব্যাট)-কে কাঠগড়ায় দাঁড় করান তিনি। কে কে শর্মার অভিযোগ, সীমান্তে কোনও পরিবর্তন আসেনি। এখন আবার ব্যাটে অতিসক্রিয়তা লক্ষ করা যাচ্ছে। যেটা আগে কখনই ছিল না। শর্মা এ-ও জানান, পাকিস্তান সেনার গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে।


আরও পড়ুন- এটা এনকাউন্টার নয়, অ্যাপলের সেলস ম্যানেজার খুনে সাফাই যোগীর


জম্মু ও কাশ্মীরে জওয়ানদের নৃশংস হত্যা করে পাক সেনা। নয়া দিল্লির অভিযোগ, বুরহান ওয়ানির মতো জঙ্গির ডাক টিকিট প্রকাশ করে উপত্যাকার জঙ্গিদের ‘গৌরান্বিত’ করছে ইমরানের সরকার। জওয়ানদের হত্যার জবাবে ফের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের হুমকি দিয়েছেন সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াত-ও। এমনকি বৈঠক বাতিল করে পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে কঠোর মনোভাব দেখাতে চাইছে নয়া দিল্লি। চলতি মাসেই পাক বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে নিউ ইয়র্কে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের। কিন্তু জওয়ানদের নৃশংস হত্যার ঘটনা সামনে আসার পরই বৈঠক বাতিল করে দেয় মোদী সরকার। ভারতের স্পষ্ট জবাব, হিংসা এবং আলোচনা এক সঙ্গে চলতে পারে না।