নিজস্ব প্রতিবেদন: সিবিআইয়ের অধিকর্তার পদ থেকে অপসারিত তিনি। স্ব-ইচ্ছায় ইস্তফা দিয়ে চাকরি থেকেও অবসর নিয়েছেন। তারপরও, মোদী সরকারের ‘কাঁটা’ হয়ে রয়েছেন প্রাক্তন সিবিআই অধিকর্তা অলোক ভার্মা। সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনের তদন্তে নেতৃত্ব দেওয়া অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অনঙ্গ কুমার পট্টনায়েক ভার্মার অপসারণের সিদ্ধান্তকে ‘হঠকারিতা’ বলে ব্যাখ্যা করলেন। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি পট্টনায়েকের এমন মন্তব্যে রীতিমতো ব্যাকফুটে মোদী সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- মোদী-মালিয়াকে বিশেষ সুবিধে পাইয়ে দেন প্রাক্তন সিবিআই প্রধান! তদন্তে ভিজিল্যান্স কমিশন


অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি পট্টনায়েকের দাবি, সিভিসির রিপোর্ট তাঁর নয়। সিবিআইয়ের বিশেষ অধিকর্তা রাকেশ আস্থানার অভিযোগের ভিত্তিতে তৈরি হয় ওই রিপোর্ট। এমনকি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি পট্টনায়েকের আরও দাবি, তাঁর কাছে সিভিসি-র পাঠানো রিপোর্টে আস্থানার স্বাক্ষর করা ছিল। পট্টনায়েকের মুখোমুখি হননি আস্থানা। তিনি মনে করেন, উচ্চ-পর্যায়ে বাছাই কমিটি হঠকারি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।



উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি সিবিআইয়ের অধিকর্তার পদে অলোক ভার্মাকে পুনর্বহাল করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। তাঁর পরবর্তী ভাগ্যনির্ধারণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটির উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির প্রতিনিধি বিচারপতি অর্জন কুমার সিক্রি এবং বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের উচ্চপর্যায়ের বাছাই কমিটি ভার্মার অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয়। ওই পদে অন্তর্বর্তীকালীন সিবিআই অধিকর্তা হিসাবে বসানো হয় নাগেশ্বর রাওকে।


আরও পড়ুন- মমতাকে নামতে হবে না, অমিতের জন্য আমরাই আছি: অভিষেক


ভার্মার বিরুদ্ধে যে ১০ দফা অভিযোগ ছিল, তার মধ্যে ৪টি ‘ভিত্তিহীন’ বলে জানিয়েছে সিভিসি। ৪টি অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের সুপারিশ করা হয়েছে। বাকি ২টির ভিত্তি রয়েছে বলে দাবি করে বিচারবিভাগীয় তদন্তের সুপারিশ করা হয়। সূত্রের খবর, সিভিসির রিপোর্টের ভিত্তিতে ভার্মার অপসারণে জোরালো সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পুলিসি তদন্তের দাবি জানিয়ে ভার্মার অপসারণের তদন্তে সম্মতি জানান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ কে সিক্রি। একমাত্র বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ভার্মারও মতামত জানার আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু গরিষ্ঠতার বিচারে খাড়গের আর্জি খারিজ হয়ে যায়।


সিভিসির রিপোর্টে সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। সিভিসির রিপোর্ট কি বেদবাক্য? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তবে, ইস্তফা দিয়ে ভার্মা বলেন, সঠিক বিচার পদদলিত করা হল। একাধিক মস্তিষ্কের সিদ্ধান্ত বলে অভিযোগ করেন তিনি।