হাথরসকাণ্ডের তদন্তভার নিল সিবিআই, নজরে ষড়যন্ত্র ও হাঙ্গামা বাধানোর অভিযোগও
এলাকার উচ্চবর্ণের মানুষজন রীতিমতো পঞ্চায়েত বসিয়ে ওই ঘটনাকে খুন বলে চালানোর চেষ্টা করছে। এব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন এলাকার এক বিধায়কও
নিজস্ব প্রতিবেদন: এলাহাবাদ হাইকোর্টে ধাক্কা ও রাজ্যে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে হাথরসকাণ্ডের সিবিআই তদন্তের আদেশ দিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এবার ওই মামলার তদন্তভার নিল সিবিআইয়ের গাজিয়াবাদ শাখা।
আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া; সরকারি চাকরিতে ইন্টারভিউ বাতিল করেছে ২৩ রাজ্য, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
উত্তরপ্রদেশ পুলিস বরাবরই বলছে, হাথরসের দলতি তরুণীর দেহ ধর্ষণের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বরং মারধরের ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তারপরেও বিরোধীদের বিক্ষোভের চাপে সিট গঠন করেও সিবিআই তদন্তের আদেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকার আবেদন করে আদালতের আওতায় ওই ঘটনার সিবিআই তদন্ত হোক।
দলিত তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগের পাশাপাশি ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তরপ্রদেশ পুলিস যেসব দেশবিরোধী কার্যকলাপ, হাঙ্গামা বাধানোর চেষ্টা ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে তাও তদন্ত করে দেখবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
আরও পড়ুন- বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান ২০২০-তে এবছর নয়া সংযোজন 'সেরা কোভিড সচেতন পুজো'
উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর মাঠ কাজ করার সময়ে ওই দলিত তরুণীকে এলাকার উচ্চবর্ণের ৪ তরুণ ধর্ষণ ও প্রবল মারধর করে তরুণীর পরিবারের অভিযোগ। আলিগড় ও দিল্লির হাসপাতালে চিকিত্সার সময়ে পরীক্ষায় উঠে এসেছে তরুণীর দেহের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে, মেরুদণ্ডও ক্ষতিগ্রস্থ হয়, ঘাড়ের হাড় ভেঙে গিয়েছে। তবে উত্তরপ্রদেশ পুলিসের দাবি, কোনও ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া য়ায়নি।
এদিকে, এলাকার উচ্চবর্ণের মানুষজন রীতিমতো পঞ্চায়েত বসিয়ে ওই ঘটনাকে খুন বলে চালানোর চেষ্টা করছেন। এব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন এলাকার এক বিধায়কও। গ্রাম প্রধান দাবি করেছেন, দলিত তরুণীর সঙ্গে অভিযুক্তের সম্পর্ক ছিল। তরুণীকে মোবাইল কিনে দিয়েছিল মূল অভিযুক্ত। কিন্তু ওই সম্পর্ক মানতে পারেনি তরুণীর পরিবার। ঘটনার দিন তরুণীকে অভিযুক্তের সঙ্গে দেখে ফেলায় রাগের বশে তাকে পিটিয়ে মেরেছে তার পরিবারের লোকজন।