``বোনকে খুন করোনি তো?`` সিবিআই-এর প্রশ্নে মুখের উপর উত্তর হাথরস নির্যাতিতার দাদার
নির্যাতিতার মা ও দাদাকে প্রায় রোজই ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরা করছেন সিবিআই অফিসাররা।
নিজস্ব প্রতিবেদন- তোমার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠছে। বোনকে তুমি খুন করোনি তো? সিবিআই-এর এমন চাচাছোলা প্রশ্ন শুনে প্রথমে কোনও উত্তর দিতে পারেনি হাথরস নির্যাতিতার দাদা। এতটাই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তার পর অবশ্য সিবিআইকে মুখের উপর জবাব দেন। তিনি বলেন, ''যদি আমিই খুন করতাম তা হলে তো আর আহত অবস্থায় ওকে থানায় নিয়ে যেতাম না। ওকে তো মেরেই ফেলতে পারতাম।'' নির্যাতিতার দাদার এমন জবাবে সিবিআই আধিকারিকরা সন্তুষ্ট হলেন কি না তার উত্তর সময় দেবে। তবে সিবিআই অফিসারদের একের পর এক চাচাছোলা প্রশ্নে জেরবার নির্যাতিতার পরিবারের লেকজন।
নির্যাতিতার মা ও দাদাকে প্রায় রোজই ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরা করছেন সিবিআই অফিসাররা। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের থেকে একের পর এক তথ্য সংগ্রহ করছেন তাঁরা। এদিনও নির্যাতিতার দাদাক সিবিআই অফিসাররা ক্যাম্প কার্যালয়ে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। সেখানে অনেকক্ষণ ধরেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বাইরে এসে নির্যাতিতার ভাই জানান, সিবিআই অফিসাররা তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে তিনি আবার বোনকে খুন করেননি তো! তিনি সিবিআই অফিসারদের পাল্টা যুক্তি দিয়েছেন, বোনকে খুন করার হলে তিনি বাড়িতেই করতে পারতেন। ক্ষেতে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হত না।
আরও পড়ুন- ২৮ ঘণ্টা ধরে দুশো ফিট গভীর কুয়োয় আটকে পাঁচ বছরের বাচ্চা, উদ্ধারে সেনা, NDRF
মারা যাওয়ার আগের মুহূর্তে হাথরসের নির্যাতিতা চার যুবকের নাম পুলিসের কাছে বলেছিল। নির্যাতিতা জানিয়েছিল, সেই চার যুবক তাঁর সঙ্গে দুষ্কর্ম করেছিল। তাঁর বয়ান রেকর্ড করে পুলিস। মরনাপন্ন কারও বয়ানকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। সেই বয়ানের ভিত্তিতে গ্রামের ওই চার যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিস। কিন্তু পুলিস-প্রশাসন রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে কেন নির্যাতিতার মৃতদেহ সত্কার করেছিল, সেই রহস্য এখনও ফাঁস হয়নি। হাথরসের জেলাশাসকের যুক্তি ছিল, তাঁর নির্দেশেই পুলিস এমনটা করেছিল। কারণ তিনি আন্দাজ করেছিলেন, এই ঘটনাকে অন্য পথে নিয়ে দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করবে কে বা কারা! তবে আদালতে এমন যুক্তি ধোপে টেকেনি।