নিজস্ব প্রতিবেদন : সচিন পাইলট ও তাঁর অনুগামীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত আপাততভাবে রদের রায়ে চ্যালেঞ্জ করে এবার সুপ্রিম কোর্টে রাজস্থানের স্পিকার। বিচারে দেরি হওয়ায় সাংবিধানিক সঙ্কট এড়াতে তিনি এমনটা করেছেন বলে জানিয়েছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইতিমধ্যেই আস্থাভোটে তোড়জোড় করছেন অশোক গেহলট। হুইপ জারি করা হতে পারে দলে। সেক্ষেত্রে বিধায়কের পদ খোয়াতে হতে পারে বিদ্রোহীদের। অন্যদিকে হাইকোর্টের রায়ে আপাতত সচিনের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয় শুক্রবার পর্যন্ত। এর পর 'সাংবিধানিক সঙ্কট' এড়াতেই তাঁর এমন পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন রাজস্থানের স্পিকার। 


গেহলট বিরোধিতা করা দিল্লিতে যাওয়ার পরেই স্পিকার সিপি জোশী সচিন ও তাঁর অনুগামী ১৮ জন বিধায়ককে তাঁদের দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগের কৈফিয়ত্ চান। নোটিস পাঠানো হয় তাঁদের বাসভবন, এসএমএস ও মেল-এ। এর পরেই হাইকোর্টে যান সচিন। তাঁকে অন্যায়ভাবে ছেঁটে ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি এখনও কংগ্রেস সদস্য বলেও ঘোষণা করেন। এরপর হাইকোর্টের তরফে রাজস্থানের স্পিকারকে শুক্রবার পর্যন্ত কোনও শাস্তিমূলক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না বলে জানানো হয়।


রাজস্থানের স্পিকার সিপি জোশী বলেন, "স্পিকারের কাছে নোটিস পাঠানোর সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে। স্পিকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কেবল নোটিসের ভিত্তিতে বিচার করা সম্ভব নয়।" সেই সঙ্গে রাজস্থানের স্পিকার আরও বলেন, এমন পরিস্থিতিতে সরকারের ১৯ জন বিধায়ক ও হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধেই যদি 'বিদ্রোহের' অভিযোগ আসে, সেক্ষেত্রে একটা সাংবিধানিক সঙ্কটের পরিস্থিতি তৈরি হয়। 


অবশ্য সচিন-ঘনিষ্ঠদের দাবি, উচ্চ আদালতে রায় সচিনের পক্ষে যাবে আন্দাজ করেই তড়িঘড়ি সুপ্রিম কোর্টে ছুটছেন স্পিকার। অর্থাত্ সচিনকে নিয়ে যে বেজায় অস্বস্তিতে টিম গেহলট, তা বলাই যায়।
আরও পড়ুন : কোভিড আতঙ্কে চিকিৎসকের দাদাকে রডের ঘা, গরম সাইলেন্সরের ছ্যাঁকা পড়শির