অসম-বিহারে বন্যায় মৃত ৫২, প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ জলবন্দি
অসম-বিহারে বন্যা পরিস্থিতির এখনও উন্নতি হয়নি। বন্যায় দুই রাজ্যে মৃতের সংখ্যা ৫২। প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ জলবন্দি। বন্যায় মেঘালয়ে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গিলে খাচ্ছে নদী। ভিটেমাটি-ধানজমি-পায়ে চলা রাস্তা, সবই নিশ্চিহ্ণ। অসমের ২৮টি জেলায় ৩৫ লাখের বেশি মানুষ জলবন্দি।
ওয়েব ডেস্ক: অসম-বিহারে বন্যা পরিস্থিতির এখনও উন্নতি হয়নি। বন্যায় দুই রাজ্যে মৃতের সংখ্যা ৫২। প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ জলবন্দি। বন্যায় মেঘালয়ে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গিলে খাচ্ছে নদী। ভিটেমাটি-ধানজমি-পায়ে চলা রাস্তা, সবই নিশ্চিহ্ণ। অসমের ২৮টি জেলায় ৩৫ লাখের বেশি মানুষ জলবন্দি।
ব্রহ্মপুত্র ও তার বিভিন্ন শাখানদীর জল বিপদসীমার ওপরে। লখিমপুর, গোলাঘাট, বঙ্গাইগাঁও, জোড়হাট, ধেমাজি, বরপেটা, গোয়ালপাড়া, ধুবুরি, শোনিতপুরের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। রাজ্যে দু-লাখ হেক্টর কৃষিজমি জলের তলায়। মুছে গেছে কয়েকশো গ্রাম। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং আকাশপথে অসমের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে হাত লাগিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের ৮০ শতাংশ এলাকা জলের নীচে।
মেঘালয়তেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পশ্চিম গারোর পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। বন্যায় গারো পাহাড়ে একাধিক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর মিলেছে। জলের তলায় বিহারও। গোটা রাজ্যে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ জলবন্দি। ১০ জেলার পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। পুর্ণিয়া, কিষেণগঞ্জ, আরারিয়া, দ্বারভাঙা, ভাগলপুর, কাটিহার, মাধেপুরা, সহর্ষ, সুপুল ও গোপালগঞ্জে অবস্থা ভয়াবহ। বন্যায় ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু জায়গা, ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। অসম-বিহার-সহ দেশের নানা বন্যাদুর্গত এলাকা থেকে ইতিমধ্যেই দশ হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।