নিজস্ব প্রতিবেদন : একে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি। তার উপর আনলক হতে না হতেই দেশে পেট্রোল-ডিজেলের প্রতিনিয়ত মূল্যবৃদ্ধি। এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে কিন্তু সেই হারে অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি পায়নি। তাহলে আনলকের পর থেকে এমনভাবে দাম বাড়ছে কেন?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এক কথায় বলতে গেলে এর পেছনে মূল কারণ হল কেন্দ্রের ভারি শুল্ক। গত ৬ মে লকডাউন পর্বে কেন্দ্রীয় সরকার করোনা ফান্ড তৈরির লক্ষ্যে পেট্রোপণ্যে ভারি শুল্ক চাপায়। পেট্রোলের ও ডিজেলের ক্ষেত্রে লিটারপিছু যথাক্রমে ১৩ টাকা ও ১০ টাকা অন্তঃশুল্ক চাপানো হয়। এর ফলে সেই সময়েই এক লাফে অনেকটাই বৃদ্ধি পায় দাম।


কিন্তু, সেই দাম এখন বাড়ছে কেন? লকডাউন চলাকালীন হঠাত্ দাম বৃদ্ধি করতে শুরু করলে সমস্যার সৃষ্টি হত। কারণ সেই সময়ে বাজারে টাকার অভাব তো ছিলই, পাশাপাশি কেবলমাত্র এমার্জেন্সি ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহকারী যান চলাচল করছিল। ফলে সেই সময়ে ভারতে ব্যবসা করা তেল সংস্থাগুলি কেন্দ্রকে শুল্ক দিলেও বিক্রি করার ক্ষেত্রে তেলের দাম বৃদ্ধির অনুমতি পায়নি। 


এরপর আনলকের মাধ্যমে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করা হচ্ছে। রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যাও এখন বেশি। এখন ধাপে ধাপে তাই দাম বৃদ্ধি করে সেই শুল্কের ঘাটতি মেটানো হচ্ছে।

অর্খাত্ পেট্রোলের আজকের তারিখে দাম ২২ টাকার আশেপাশে হলেও, কেন্দ্রের চাপানো আমদানি ও উৎপাদন শুল্কই প্রায় ৩৩ টাকা। তার সঙ্গে যোগ হচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যের শুল্ক ও ডিলারের কমিশন। ফলে দাম বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৭৮টাকা থেকে ৮১ টাকা প্রতি লিটারের আশেপাশে। 


সাধারণভাবে পেট্রোল ডিজেলের দাম নির্ভর করে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামের উপর। কোনও কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রুড অয়েলের দাম বৃদ্ধি পেলে স্বাভাবিকভাবেই পেট্রোল ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পায়।


করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গত ২-৩ মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের চাহিদা তলানিতে ঠেকলেও আবার সেই বাজার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বিশ্বজুড়ে আনলকের সঙ্গে সঙ্গে আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে অপরিশোধিত তেলের চাহিদা।
আরও পড়ুন : সামাজিক দূরত্ব শিকেয় তুলে স্টেশনে ভিড় শ'য়ে শ'য়ে শ্রমিকের, বিজেপি সাংসদ বলছেন 'হতেই পারে'