ভারতের এখানে মল, মূত্র, ঘাম খেতে বাধ্য করা হয় গ্রামবাসীকে
`ডিজিটাল ইন্ডিয়া`র ঠিক উল্টোপিঠের ছবিটা বোধহয় এটাই। গ্রামীণ ভারতের এর থেকে `ভালো` ছবি বোধহয় আর হয় না। কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাস মানুষকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে, তার `পোস্টকার্ড` এই ঘটনা। ভারতের এই গ্রামের মানুষদের বাধ্য করা হয় মল, মূত্র ও ঘাম খেতে। রাজি না হলে জোর করা হয়। কারণ তাতেই নাকি ডাকিনীবিদ্যায় `সিদ্ধিলাভ` সম্ভব হবে!
ওয়েব ডেস্ক : 'ডিজিটাল ইন্ডিয়া'র ঠিক উল্টোপিঠের ছবিটা বোধহয় এটাই। গ্রামীণ ভারতের এর থেকে 'ভালো' ছবি বোধহয় আর হয় না। কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাস মানুষকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে, তার 'পোস্টকার্ড' এই ঘটনা। ভারতের এই গ্রামের মানুষদের বাধ্য করা হয় মল, মূত্র ও ঘাম খেতে। রাজি না হলে জোর করা হয়। কারণ তাতেই নাকি ডাকিনীবিদ্যায় 'সিদ্ধিলাভ' সম্ভব হবে!
গ্রামটি ওড়িশার। রাজ্যে অন্ধবিশ্বস ও কুসংস্কারের সঙ্গে মোকাবিলার লক্ষ্যে ২০১৩ সালে একটি আইনও আনে সরকার। কিন্তু রাজ্যের পরিস্থিতি বদলে ব্যর্থ হয় সেই আইন। বৃহস্পতিবার ওড়িশার গঞ্জাম জেলার জগদেবপুরে ঘটে এমনই একটি ঘটনা। প্রথমে দুজন ব্যক্তির দাঁত উপড়ে নেওয়া হয়। তারপর তাঁদের বাধ্য করা হয় মল, মূত্র ও ঘাম খেতে। খবরটি প্রকাশিত হয়েছে একটি সর্বভারতীয় ইংরেজী পত্রিকায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এর পিছনে রয়েছে ডাকিনীবিদ্যা চর্চা।