নিজস্ব প্রতিবেদন: জম্মু-কাশ্মীরের রাস্তায় গাড়িতে বিস্ফোরণের রহস্য উদঘাটন করলেন তদন্তকারীরা। গ্রেফতার করা হল গাড়ির চালককে। সে হিজবুল মুজাহিদিনের সদস্য বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন তাঁরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


গত শনিবার ঘটনাটি ঘটেছিল কাশ্মীরের বানিহালে। জওহর টানেলের কাছে জাতীয় সড়কের উপর একটি গাড়ি আচমকা সিআরপিএফের কনভয়ে ধাক্কা মারে। সিআরপিএফের বাসটি সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কিছুক্ষণ পর বিস্ফোরণে উড়ে যায় ঘাতক গাড়িটি।


ঘটনার পর থেকেই চালক নিখোঁজ ছিল। তার খোঁজে তল্লাশি চলছিল। ঘটনার ধরন দেখে প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা জঙ্গি হামলা বলেই মনে করেছিলেন। পুলওয়ামার পুনরাবৃত্তি ঘটতেই ওই বিস্ফোরণ বলেই তদন্তকারীদের একটি সূত্র থেকে দাবি করা হয়েছিল।


আরও পড়ুন: মমতা ‘কিলার লেডি’! প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাইছেন অন্ধ্রের প্রবাসী বাঙালিরা


সোমবার গাড়ি চালককে ধরার পর বিষয়টি আরও স্পষ্ট হল। পুলিস ও সেনা সূত্রে খবর, ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আপাতত সে স্বীকার করেছে যে পুলওয়ামার মতো সিআরপিএফ কনভয়ে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল।


প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে জঙ্গি হামলা হয়। হামলায় শহিদ হন প্রায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। সেদিন একটি গাড়ি আধাসেনার কনভয়ে ঢুকে পড়েছিল। তার পর একটি গাড়িতে ধাক্কা দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়।


আরও পড়ুন: শান্তিপ্রিয় হিন্দুদের সন্ত্রাসবাদী তকমা দিয়েছিল কংগ্রেস, মনে করালেন মোদী


শনিবার বেলায় রামবানের কাছে যে ঘটনা ঘটেছিল, সেটাও অনেকটা একই রকম ছিল। সেদিনও সিআরপিএফের কনভয়ে একটি গাড়ি ঢুকে পড়ে। তার পর একটি বাসকে ধাক্কা দেয়। তবে তখন বিস্ফোরণ হয়নি। কিছুক্ষণ পর বিস্ফোরণ হয়। এর জেরে বরাতজোরে বেঁচে যান আধাসেনার জওয়ানরা। ভস্মীভূত হয় ঘাতক গাড়িটি।


ঘটনার তদন্তে নেমে তদন্তকারীরা দেখেন, মূলত সিলিন্ডার ফেটে যাওয়ার জন্যই বিস্ফোরণ হয়। তবে গাড়িতে পেট্রল, জিলেটিন স্টিক-সহ একাধিক বিস্ফোরক ছিল।


আরও পড়ুন: ভারতীয় সেনাকে ‘মোদীর সেনা’ বলে তুমুল বিতর্কে যোগী আদিত্যনাথ


তখনই তদন্তকারীরা এই ঘটনার সঙ্গে জঙ্গিযোগের বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখতে শুরু করেন। তদন্ত সেই পথে এগোতেই ওই হিজবুল জঙ্গির খোঁজ মেলে। সোমবার তাকে ধরে ফেলা হয়।


এদিকে শনিবার পুলওয়ামায় একটি গ্রেনেড হামলা হয়। সেখানে স্টেট ব্যাঙ্কের শাখার নিরাপত্তায় থাকা সিআরপিএফ বাঙ্কার লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা।


আরও পড়ুন: প্রবল ঝড়-বৃষ্টির মুখে কর্তব্যে অটল ‘চৌকিদার’ ট্রাফিক পুলিস, কুর্নিশ নেটিজেনের


রামবানের বিস্ফোরণ ও পুলওয়ামার গ্রেনেড হামলার মধ্যে কোনও যোগ আছে কি না, আপাতত সেটা খতিয়ে দেখছে সেনা ও পুলিস।