ওয়েব ডেস্ক:  পেট্রোল, ডিজেলে ছুঁলেই এখন ছ্যাঁকা লাগছে মধ্যবিত্তদের হাতে। কিন্ত দীপাবলির আগেই জ্বালানির দাম কমানোর আশ্বাস দিয়েছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তাঁর দাবি, জিএসটির আওতায় এলেই পেট্রোলের দাম হবে ৩৮ টাকা। কিন্তু আদৌ কি কেন্দ্র এই পদক্ষেপ করবে?  'দ্য হিন্দু'তে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে অস্বাভাবিকভাবে লাভবান হচ্ছে কেন্দ্র। সেই সঙ্গে পেট্রোল, ডিজেলের সেন্ট্রাল এক্সারসাইজও বেড়েছে কয়েকগুণ। পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধির নেপথ্যে কেন্দ্র যেভাবে রাজ্যগুলির ভ্যাট প্রয়োগকে দায়ী করছিল, তাও মিথ্যা বলে প্রমাণীত হল। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে একটি তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। তাতেই উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু তথ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওয়েবসাইটে দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ সালে পেট্রোপণ্যের থেকে কেন্দ্রের আয় হত ১,৭২,০৬৬ কোটি টাকা। সেখানে ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে সেই আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩,৩৪,৫৩৪ কোটি টাকা।


অন্যদিকে, ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে পেট্রোপণ্য থেকে রাজ্যগুলির আয় হত ১,৬০,৫৫৪ কোটি টাকা। এখন সেই আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৮৯,৭৭০ কোটি টাকা। বোঝাই যাচ্ছে কেন্দ্রের তুলনায় রাজ্যের আয় বেড়েছে অনেকটাই কম। সেক্ষেত্রে দুবছরে কেন্দ্রেয় আয় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।


পেট্রোল ও ডিজেল থেকে সেন্ট্রাল এক্সসাইজও ধাপে ধাপে বাড়িয়েছে কেন্দ্র। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪-১৫ সালে কেন্দ্র পেট্রোল ও ডিজেল থেকে সেন্ট্রাল এক্সসাইজ নিত যথাক্রমে ৯.৪৮ টাকা ও ৩.৫৬ টাকা। সেখানে ২০১৬-১৭ সালে সেই অঙ্কটা বেড়ে হয়েছে যথাক্রমে ২১.৪৮ টাকা ও ১৭.৩৩ টাকা।


পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে, পেট্রোপণ্য থেকে কতটা লাভবান হচ্ছে কেন্দ্র। সেখানে দাঁড়িয়ে আদৌ কি পেট্রোল, ডিজেলকে জিএসটি-র আওতায় আনবে কেন্দ্র? ওয়াকিবহল মহল অবশ্য এবিষয়ে কোনও ইতিবাচক ইঙ্গিত দিচ্ছেন না। স্বাভাবিক ভাবেই পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর দাবি মতো, পেট্রোলের দাম ৩৮ টাকাও কোনওদিন হবে বলে এখনও আশা করছেন না তাঁরা।