রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে গেলেন এক হিন্দু সন্ন্যাসী। কে এই ব্যক্তি? কেনই বা তিনি নিখোঁজ হয়ে গেলেন? এ নিয়ে জোর জল্পনা বিভিন্ন মহলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কে এই সন্ন্যাসী?


ধর্ষক স্বঘোষিত ধর্মগুরু রাম রহিমের গ্রেফতারির পর ১৪ জনের একটি 'ভণ্ড' সাধুদের তালিকা প্রকাশ করেছিলেন এই সন্ন্যাসী। তাতে নাম ছিল রাধে মা সহ ১৩ জন 'বাবা'র নাম। তিনি হলেন অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের মুখপাত্র মহন্ত মোহন দাস। শনিবার থেকে রহস্যজনকভাবে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না এই হিন্দু সন্ন্যাসীর। 'নট্ রিচেবল' তাঁর মোবাইল ফোনও। তদন্তে নেমেছে ইনদওর পুলিস।


কী ঘটেছিল সে দিন?


অনুগামীরা জানাচ্ছেন, হরিদ্বার থেকে মুম্বইয়ের কল্যাণে যাওয়ার জন্য হরিদ্বার-লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন  মোহন দাস। এ ওয়ান কোচের ২২ নম্বর আসনের যাত্রী ছিলেন তিনি। নিজামুদ্দিন স্টেশনেই তাঁকে শেষবার দেখতে পাওয়া গিয়েছিল বলে পুলিসের কাছে জানিয়েছে মোহন দাসের সহযাত্রীরা। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ ভোপাল স্টেশনে পৌঁছয় ট্রেন। সেখানে এক ভক্ত মোহন দাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। নির্দিষ্ট আসনে দেখতে না পেয়ে ট্রেনের বিভিন্ন কামরায় খোঁজাখুঁজি করেন তিনি। না পেয়ে জিআরপিকে খবর দেন। পরে ভুসওয়ালা স্টেশনে ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। ট্রেনের নির্দিষ্ট আসনে মোহন দাসের সমস্ত জিনিস থাকলেও, ট্রেনের কোথাও তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। আর ঠিক এখানেই গাঢ় হচ্ছে রহস্য।


মোহন দাসের মোবাইল ফোনের শেষবারের মতো টাওয়ার লোকেশন পাওয়া গিয়েছে মেরঠেতে। রবিবার মধ্যরাত পর্যন্ত মোবাইল ফোনটির লোকেশন ছিল মেরঠের একটি জঙ্গল এলাকায়। অথচ মোহনের অনুগামীদের দাবি, মেরঠে কোনওভাবেই যেতে পারেন না তিনি। পরে, 'নট রিচেবল' হয়ে যায় ফোন।


রহস্যজনকভাবে মোহন দাসের উধাও হওয়ায়  উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। ভণ্ড সাধুদের নামের তালিকা প্রকাশ্যে আনাতেই কি কোনও বিপদ হল তাঁর? আপাতত হন্যে হয়ে উত্তর হাতড়াচ্ছে পুলিস।