নিজস্ব প্রতিবেদন: ইতিহাস তৈরি করলেন রাজিয়া। বিহারের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে উঠে আসা ২৭ বছরের এই মুসলিম কন্যার কীর্তিতে নজির তৈরি হল বিহার পুলিসে। ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিস (DSP) পদে তিনিই প্রথম কোনও মহিলা যিনি মুসলিম সম্প্রদায় থেকে উঠে এসেছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় পাস করা তরুণীর কীর্তি লিখল গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস। বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনে পাস করার পর ডিএসপি পদের জন্য ৪০ জনকে বেছে নেওয়া হয়৷ তাদের মধ্যে ছিলেন রাজিয়া সুলতানাও। যদিও সকলকে টপকে শীর্ষ স্থান অধিকার করেন তিনি। 


আরও পড়ুন, Petrol Diesel Price: মুম্বইতে লিটারপ্রতি ১০২ টাকা পেট্রোল, সেঞ্চুরির পথে কলকাতাও


বিহারের গোপালগঞ্জ জেলার হাতুয়া এলাকার বাসিন্দা রাজিয়া। যদিও ঝাড়খণ্ডের বোকারো থেকে বিদ্যালয়ের পাঠ  শেষ করেছিলেন তিনি। কারণ তাঁর বাবার পোস্টিং ছিল ঝাড়খণ্ডে৷ বর্তমানে রাজিয়া বিহার সরকারের বিদ্যুৎ দফতরের সহকারি ইঞ্জিনিয়ার পদে বর্তমানে চাকরি করতেন।  


ছ'বোন এবং এক ভাইয়ের মধ্যে রাজিয়া সকলের ছোট। দিদিদের সকলের বিয়ে হয়ে গেলেও রাজিয়ার লক্ষ্যই ছিল উচ্চপদস্ত কোনও চাকরি করা। তার দাদা উত্তরপ্রদেশে একটি বেসরকারি সংস্থায় বর্তমানে চাকুরিরত। ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ বি.টেক করার পর বিহারের বিদ্যুৎ দফতরে কাজ করতেন তিনি। 


যদিও সংবাদমাধ্যমে রাজিয়া জানান যে তিনি সবসময়ই চাইতেন পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষা দিয়ে কোনও উচ্চপদস্ত চাকরি করার। ডিএসপি পদে চাকরি পাওয়া তার স্বপ্নের। যদিও এই স্বপ্নকে সফল করতে লড়াই তিনি চালিয়ে যাবেন বলেই জানান। 


রাজিয়ার কথায়, "অনেক সময়ই দেখা যায় অন্যায় করেও সঠিক বিচার পাননা অনেকে৷ বিশেষত মহিলারা। পুলিশের কাছে সব কথা বলতেও লজ্জা পান তারা৷ আমি চেষ্টা করব একজন মহিলা হিসেবে তাদের পাশে দাঁড়াতে। তিনি এও জানান যে বহু মুসলিম পরিবারে এখনও মেয়েরা পড়াশোনা করতে পারে না, সেদিকেও নজর দেবেন তিনি। 


ইতিহাস তৈরি করা তরুণী বলেন, "হিজাব কিংবা বোরখা পরা মানে আটকে থাকা নয়৷ যদি মন থেকে কেউ কোনও কাজ করতে চায় তাহলে আল্লাহ সেই শক্তি দেন লড়াই করার ও জয়লাভের৷" উল্লেখ্য, সম্প্রতি কোভিড আক্রান্ত হয়েও করোনাকে হারিয়েছেন রাজিয়া সুলতান।