নিজস্ব প্রতিবেদন— হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি সংগঠনের জম্মু—কাশ্মীরের অপারেশনাল চিফ রিয়াজ নাইকুকে নিকেশ করেছে আধা সেনা ও পু্‌লিসের একটি যৌথ দল। সেনার তরফে নাইকু মৃত্যু বড় সাফল্য বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। তার মৃত্যুতে দক্ষিণ কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ এলাকায় জঙ্গি কার্যকলাপ বন্ধ হবে বলে আশা করছেন সেনার আধিকারিকরা। এবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও একটি বড় সাফল্য পেল সেনা। এবার জম্মুর ডোডা জেলার শিবা গ্রাম থেকে হিজবুলের এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে সেনা। হিজবুলের গ্রাউন্ড ওয়ার্কার হিসাবে কাজ করত সে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাকিব আলম নামের ওই জঙ্গির কাছ থেকে একটি পিস্তল ও ওয়ারলেস উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবারই আর্মি জেনারেল বিপিন রাওয়াত জানিয়েছেন, জঙ্গি সংগঠনের মাথাদেক নিকেশ করাই এখন তাঁদের মূল উদ্দেশ্য। তিনি জানিয়েছেন, সংগঠনের মাথাদের নিকেশ করতে পারলেই রিক্রুটমেন্ট বন্ধ করা যাবে। তবে গ্রাউন্ড ওয়ার্কার হিসাবে কাজ করা জঙ্গিরাও অনেক সময় বড়সড় নাশকতার ছক কষে বলে জানানো হয়েছে। রাকিব আলম নামের ওই জঙ্গিকে জেরা করে সংগঠন সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন সেনার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।


আরও পড়ুন—  ভর্তি নেয়নি কোনও হাসপাতাল, ৪ জায়গায় ঘুরে করোনায় 'বিনা চিকিৎসায়' মৃত্যু দিল্লির কনস্টেবলের


অঙ্কের অধ্যাপক থেকে জঙ্গি সংগঠনের নেতা। রাইকুকে মাস্টারজি বলে ডাকত জঙ্গিরা। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পুলিসকর্মী, একাধিক খুন করেছে সে। ঘন ঘন ভিডিয়ো পোস্ট করত নাইকু। কাশ্মীরের যুব সম্প্রদায়কে জঙ্গি সংগঠনে নাম লেখানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করত। বেশ কিছু জঙ্গি কার্যকলাপে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিল নাইকু। পুলওয়ামা জেলার বাগপোরা গ্রামে একটি বাড়িতে লুকিয়ে ছিল নাইকু। অসুস্থ মায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল সে। এর পরই নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা সেই বাড়ি ঘিরে পেলে। ৪০ কেজি আইইডি ব্যবহার করে উড়িয়ে দেওয়া হয় সেই বাড়ি। নিকেশ করা হয় হিজবুলের নেতা নাইকুকে।