নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারত ও চিনের সংঘর্ষ নিয়ে ধোঁয়াশার শেষ নেই। তবে যে উপগ্রহ চিত্র এখনও হাতে এসেছে তা দেখলে চিনা আগ্রাসন সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে ৩৩ দিনে সুপরিকল্পনায় নিজেদের পাল্লা ভারী করেছে 'যুদ্ধবাজ' চিন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকার পেট্রোল পয়েন্ট ১৪ এর কাছে সংঘর্ষে জড়ায় ভারত ও চিন। এক কর্নেল সহ  ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহীদ হন। চিনেরও  প্রায় ৪৫ জন সেনা গুরুতর আহত বা নিহত হন। চিনেরও এক কমান্ডিং অফিসারের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে মে থেকে জুন, দিনের পর দিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চিন নিজেদের ঘাঁটি গেড়েছে। তা উপগ্রহ চিত্রগুলিকে একসঙ্গে রাখলেই বোঝা যায়।


২২ মে উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছো গালওয়ানের কাছাকাছি একটি ইগলুর মতো ক্যাম্প ও পাশাপাশি ২০ জন সৈনিক। তারপরেই ১৫ জুন, সংঘর্ষ কিন্তু ১৬ জুন পর্যন্ত ওই ঘাঁটির আশে পাশে কোনও নির্মাণ কার্যের ছবি ধরা পড়েনি উপগ্রহ চিত্রে।



পরবর্তী উপগ্রহ চিত্র ২২ জুনে ধরা পড়েছে গোলাপি ত্রিপলে আচ্ছাদিত একটা অঞ্চল ও গালওয়ান থেকে মাত্র ১৫০ মিটার দূরেই দাঁড়িয়ে ৫০ জন সৈনিক। অর্থাৎ ১৬ থেকে ২২ জুন এই ৬ দিনের মধ্যেই পাকাপাকি ঘাঁটি তৈরি করেছে লাল ফৌজ।


এরপর ২৫ জুনের ছবি, গোলাপি ত্রিপল গুলির জায়গায় কালো ত্রিপল। জায়গাটি পরিষ্কার। আশেপাশে পাথর পড়ে নেই।  যা দেখে স্পষ্ট আন্দাজ করা যায় ২২ জুনের বৈঠকে কথা দিলেও সরে যায়নি লাল ফৌজ। উল্টে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে। চাপানউতোরের মুখে এমনও জল্পনা উঠে এসেছে তাহলে কি চিনা সেনা ভারতের ভূখণ্ড দখল করে বসে আছে! গতকালই কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল জানিয়েছেন লাদাখের ওয়াই জংশনে অর্থাৎ ভারতের ১৮ কিলোমিটার অন্দরে ঢুকে এসেছে চিন। ভারতীয় জওয়ানদের পেট্রোল পয়েন্টে টহল দিতে বাধা দিচ্ছে চিন।



উপগ্রহ চিত্রে যে ছবি ফুটে উঠছে তা থেকে বলা যায় ভারতের দৌলতবেগ ওলদি বায়ুসেনা ঘাঁটির খুব কাছাকাছি চলে এসেছে চিনা সেনা। যদি চিন অবস্থান না বদলায় তাহলে কঠোর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। দুই শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধ হলে আদপে ক্ষতি কিন্তু দুপক্ষেই। ভারত শান্তি চায় কিন্তু বদলা নিতে ছাড়বে না। তার আঁচ সীমান্তে রণসজ্জা দেখেই মিলছে।



আরও পড়ুন- 'বন্ধু হতে জানি, তবে দেশের ভূখণ্ডে হাত পড়লে কীভাবে জবাব দিতে হয় তাও জানে ভারত'


দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ জানিয়েছেন, লাদাখে প্রতিবেশীকে অত্যন্ত কড়া ভাবেই মোকাবিলা করেছে ভারত। ওখানে যারা আমাদের চ্যালেঞ্জ করেছিল তাদের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হয়েছে। এমনকি কড়া সুরে নাম না করে নমো বলেছেন, ভারত জানে কীভাবে কারও ভালো বন্ধু হতে হয়। কিন্তু কেউ আমাদের সার্বভৌমত্য ক্ষুন্ন করে তখন তার জবাব কীভাবে দিতে হয় তা ভারত জানে। পূর্ব লাদাখে যা হয়েছে তার জন্য গোটা দেশের মানুষ ক্ষোভে ফুটছে।