নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে হামলা চালায় জঙ্গিয়া। ওই হামলায় শহিদ হন ৪০ জওয়ান। সেই মামলার তদন্তে নেমে ১৩,৮০০ পাতার চার্জশিট দিল এনআইএ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-করোনার এই আবহে পরীক্ষা নেওয়া অন্য়ায়, NEET পরীক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ালেন গ্রেটা থুনবার্গ


হামলার দিন অর্থাত্ ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু থেকে শ্রীনগর যাচ্ছিল সিআরপিএফের কনভয়। সেই কনভয়ে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় জইশ জঙ্গি আদিল আহমেদ দার। বিশাল ওই চার্জশিটে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য দিয়েছে এনআইএ। সেখানে বর্ণনা করা হয়েছে কীভাবে ওই হামলার নিখুঁত পরিকল্পনা করে জঙ্গি একটি বিশাল চক্র।


# পুলওয়ামা হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল পাকিস্তানে। হামলার জন্য জইশ তার ক্যাডারদের পাঠিয়েছিল আফগানিস্থানে। সেখান থেকে তার বিস্ফোরণের প্রশিক্ষণ নিয়ে আসে।


# প্রধান অভিযুক্ত মহম্মদ ওমর আফগানিস্থানে প্রশিক্ষণের জন্য যায় ২০১৬-১৭ সালে। ট্রেনিং শেষ করে ২০১৮ সালে সে জম্মুর সাম্বা সেক্টর দিয়ে ভারতে ঢোকে। তারপর পুলওয়ামায় জইশের সংগঠনের দায়িত্ব নেয়।


# পুলওয়ামায় এসে পাক সঙ্গী মহম্মদ কামরান, মহম্মদ ইসমাইল সইফুল্লা, কারি ইয়াসিরের সঙ্গে জোট বেঁধে একটি গ্যাং তৈরি করে। তাদের হাতেই শুরু হয় অন্যদের ট্রেনিং। আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জওয়ানদের ওপরে হামলার পরিকল্পনা করতে থাকে আদিল দার ও সমির দার।


# হামলার আগে ওইসব জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়েছিল শাকির জান, পীর তারিক আহমেদ শাহ ও বিলাল আহমেদ। হামলার আগে জম্মু ও কাশ্মীর হাইওয়েতে রেইকি করে জঙ্গিরা।


# জিলেটিন স্টিকের ব্যবস্থা করে মুসির আহমেদ খান নামে এক ব্যক্তি। অন্যদিকে, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত আরডিএক্স নিজের বাড়িতে লুকিয়ে রাখে শাকির বসির।


আরও পড়ুন-পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে JEE-NEET স্থগিদের ব্যবস্থা করুন, ফের মোদীকে চিঠি মমতার


# ২০১৯ সালের জুন মাসে জঙ্গিদের জন্য একটি মারুতি ইকো গাড়ির ব্যবস্থা করে সাজিদ আহমেদ ভাট নামে একজন। বিস্ফোরণের জন্য অ্যামাজনে অর্ডার দিয়ে কেনা হয় ৪ কেজি অ্যালুমিনিয়াম পাউডার।


# পুলওয়ামা বিস্ফোরণের পর যে ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আদিল ছড়িয়ে দেয় সেটি তৈরি করেছিল আদিল, ওমর ও সমির দার।


# ১৪ ফেব্রুয়ারির আগে ৬ ফেব্রুয়ারি হামলার চেষ্টা করেছিল জঙ্গিরা। কিন্তু প্রবল তুষারপাতের জন্য  জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। ফলে হামলার পরিকল্পনাও ভেস্তে যায়।


# হামলার দিন ২০০ কেজি বিস্ফোরক বোঝাই করে মারুতি ইকো গাড়িটি এনেছিল শাকির বসির।  সেই গাড়িটি নিয়েই সিআরপিএফ কনভয়ে ধাক্কা মেরে বিস্ফোরণ ঘটায় আদিল দার।


# এনআইএ তার তদন্তে বলেছে হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত জইশ নেতা মাসুদ আজহার, তার ভাই রউফ আসগার, আমার আলভি।


# পুলওয়ামার পরও জঙ্গিদের আরও একটি হামলার পরিকল্পনা ছিল। বালাকোটে বিমান হানার ফলে তা বাতিল হয়ে যায়।