ওয়েব ডেস্ক : ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল করার সময় এসে গেল। হাতে দু-মাসও আর নেই। তার মধ্যেই কর বাঁচানোর ব্যবস্থা করে ফেলতে হবে। কোথায় কোথায় লগ্নি করলে আপনি করের অঙ্ক কমাতে পারবেন? দেখে নেওয়া যাক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আয়কর আইনের 80C ধারায় আপনি বছরে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ওপর কর বাঁচাতে পারেন। দেখে নেওয়া যাক কোথায় কোথায় মিলবে সেই সুবিধা-
১) জীবন বিমার প্রিমিয়াম।
২) পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে সঞ্চয়।
৩) পোস্ট অফিসে ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেটস-এ লগ্নি।
৪) ব্যাঙ্কে করছাড়ের সুবিধাযোগ্য ৫ বছর মেয়াদী ফিক্সড ডিপোজিট।
৫) কন্যা সন্তানের নামে সুকন্যা সমৃদ্ধি অ্যাকাউন্টে সঞ্চয়।    
৬) দুই সন্তানের টিউশন ফি।  
৭) হোম লোনের আসল জমা।


80C-র বাইরেও রয়েছে করছাড়ের সুযোগ-
১) ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে করমুক্ত সঞ্চয়ের উর্ধ্বসীমা ৫০ হাজার টাকা।
২) হোম লোনের সুদে করছাড়ের পরিমাণ সর্বাধিক ২ লক্ষ টাকা।
৩) এডুকেশন লোনের সুদ পুরোপুরি করমুক্ত।
৪) ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত সেভিংস অ্যাকাউন্টে সুদও করছাড়ের আওতায়।
৫) স্বামী/স্ত্রী, সন্তান, মা-বাবার জন্য সর্বাধিক ৬০ হাজার টাকা মেডিক্লেম প্রিমিয়াম করমুক্ত।
৬) ক্যানসার-সহ নির্দিষ্ট কয়েকটি অসুখের চিকিত্‍সায় সর্বাধিক ৮০ হাজার টাকা খরচ করছাড়ের আওতায়।
৭) শারীরিক অক্ষমতা সংক্রান্ত চিকিত্‍সায় সর্বাধিক ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা খরচ করমুক্ত।
৮) নির্দিষ্ট কয়েকটি সংস্থায় ও তহবিলে অনুদানের ৫০%-১০০% অর্থও রয়েছে করছাড়ের আওতায়।


এতো গেল ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল করার সময় করছাড়ের জন্য আপনার ক্লেম। তবে আপনি যদি চাকরিজীবী হন, তা হলে বেতনের একটা অংশ গোড়াতেই করমুক্ত। দেখে নিন আপনার স্যালারি স্লিপের ব্রেকআপ-
১) প্রভিডেন্ট ফান্ডে সঞ্চয়।
২) বাড়ি ভাড়া ভাতা।
৩) বছরে ৭২০০ টাকা পর্যন্ত দুই সন্তানের পড়াশোনার খরচ।
৪) টেলিফোন বিল, গাড়ির খরচের ক্ষেত্রে রিইমবার্সমেন্টস।
৫) লিভ ট্র্যাভেল কনসেশন।
৬) ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লিভ এনক্যাশমেন্ট।
৭) ৫ বছর চাকরির পর প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা করমুক্ত। আপনার বেতনের সঙ্গে জুড়ে থাকা এই টাকার জন্য আপনাকে কোনও কর দিতে হবে না।


আরও পড়ুন, নতুন কর ব্যবস্থায় লাভের খাতায় মধ্যবিত্তরা!