নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছোঁয়ায় নতুন বান এসেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের গাঙে। সারা দেশ জুড়ে হঠাত্ করেই আরএসএস-এর সদস্যপদ গ্রহণের জন্য আগ্রহ এখন তুঙ্গে। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গে এই প্রবণতা এখন চরম আকার ধারণ করেছে। এমনটাই বলছে ওয়েবসাইটের তথ্য, দাবি পশ্চিমবঙ্গে আরএসএস-এর গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যের প্রবীণ আরএসএস নেতা বিপ্লব রায় বলেন, "১ থেকে ৬ জুনের মধ্যে 'Join RSS' ওয়েবসাইটে গড়ে ৩৭৮টি করে আবেদন জমা পড়েছে। তবে ৭ জুন অর্থাত্ যেদিন প্রণববাবু আরএসএস-এর শিক্ষা বর্গে বক্তৃতা দেন, সেদিন ১৭৭৯টি আবেদন জমা পড়ে। আর ৭ জুনের পর থেকে দৈনিক ১২০০ থেকে ১৩০০ আবেদন আসতে শুরু করেছে"। সাংবাদিকদের বিপ্লববাবু জানান, এই আবেদনগুলির শতকরা ৪০ ভাগই পশ্চিমবঙ্গ থেকে এসেছে। আরএসএস শীর্ষ পদাধিকারীর এমন দাবি নিঃসন্দেহে চাঞ্চল্যকর। বিশেষত, প্রণববাবুর এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া নিয়ে যে পরিমাণ জল ঘোলা হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে, তারপর এমন পরিসংখ্যান কংগ্রেসকে তুমুল অস্বস্তিতে ফেলার জন্য একাই যথেষ্ট।


কিন্তু, শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসি প্রণবের ছোঁয়াতেই কি জনপ্রিয়তা বাড়ল হেডগেওয়ার-গোলওয়ালকরের সংগঠনের? এই প্রশ্নের জবাবে সঙ্ঘ নেতার দাবি, "বিষয়টাকে এভাবে ব্যাখ্যা করা সঠিক হবে না। আসলে নিজেদের কর্মসূচির গুণেই সার্বিকভাবে আরএসএস-এর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে।" তবে প্রণব মুখোপাধ্যায় আরএসএস মঞ্চে উপস্থিত হওয়ার পর একটা বিশেষ আগ্রহ যে দেখা যাচ্ছে তা মেনেছেন তিনি।


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তথা আপাদ মস্তক কংগ্রেসি প্রণববাবু আরএসএসের আমন্ত্রণ গ্রহণ করার পর থেকেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক পরিসরে। কংগ্রেসের একটা বড় অংশ প্রণবের এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেনি। খোদ প্রণববাবুর কন্যা শর্মিষ্ঠাদেবীও বাবার এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। তিনি বলেছিলেন, "এই অনুষ্ঠানে বাবা যা বলবেন তা সবাই ভুলে যাবে। কিন্তু, ছবিটা রয়ে যাবে।" আরএসএস-বিজেপি যে এই ছবি ব্যবহার করবে তাও অনুমান করেছিলেন শর্মিষ্ঠা। তাহলে কি মেয়ের আশঙ্কাই সত্যি হল!