নিজস্ব প্রতিবেদন : অন্য কাউকে ভালবাসেন স্ত্রী। বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যেই একথা জানতে পেরে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে স্ত্রীর সঙ্গে সেই ‌যুবকের বিয়ে দিলেন স্বামী। এমন পরিণতমনষ্কতার পরিচয় দিয়ে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ওডিশার পারামা গ্রামের ‌যুবক বাসুদেব টোপ্পো। ‌


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ৪ মার্চ ওডিশার সুন্দরগড় জেলার পামারা গ্রামের বাসিন্দা বাসুদেবের সঙ্গে বিয়ে হয় দেবদিঘি গ্রামের বাসিন্দা ওই তরুণীর। দেখাশোনা করে বিয়ের পর প্রথম কয়েকদিন কেটেছিল স্বাভাবিক ভাবেই। গোলমালের সূত্রপাত গত শনিবার। বাসুদেবের বাড়িতে হাজির হন তিন যুবক। তাদের মধ্যে একজন বাসুদেবের স্ত্রীর 'তুতো' ভাই বলে নিজেকে পরিচয় দেন। নববধূর আত্মীয় বলে কথা! বাসুদেবের পরিবারের তরফে শুরু হয় অতিথি আপ্যায়ন। দুপুরের খাওয়া সেরে গ্রাম দেখার অছিলায় বাসুদেবের সঙ্গে বেরিয়ে যান 'তুতো' ভাইয়ের দুই বন্ধু। বাড়িতে থেকে যায় ওই যুবক।


আরও পড়ুন- লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে করাচি ‌যাচ্ছেন দিল্লির শল্য চিকিৎসক


গ্রামবাসীদের একাংশের অভি‌যোগ, স্বামীর অনুপস্থিতিতে নববধূকে ওই যুবকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা গিয়েছে। এরপরই বাসুদেবের বাড়ি থেকে বের করে এনে ‌যুবককে মারধর শুরু করেন গ্রামবাসীরা।


খবর পেয়ে বাড়ি ফিরে বাসুদেব জানতে পারেন, ওই যুবক তাঁর স্ত্রীর প্রেমিক। শুধু তাই নয়, তাঁর সঙ্গে মেলামেশা পছন্দ ছিল না তরুণীর পরিবারের। তাই জোর করেই বাসুদেবের সঙ্গে তাঁর বিয়ে দেওয়া হয়। তিনি এও জানতে পারেন, দু'জন একে অপরকে এখনও ভালবাসেন।


এই কথা জানার পরই বাসুদেব স্থির করেন, স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিকের পথের থেকে সরে দাঁড়াবেন তিনি। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সামাজিক মতে বিয়ে দেন স্ত্রীর সঙ্গে প্রেমিকের। গ্রামবাসীরা প্রথমে প্রতিবাদ করলেও, পরে গোটা বিষয়টি খুলে বলেন বাসুদেব। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, এই কাজটা না করলে তিনটি জীবন নষ্ট হয়ে যেতে পারত। একই মত দেয় বাসুদেবের পরিবারও। সমস্যার কথা বুঝতে পেরে গ্রামবাসীরাও সমর্থন করেন তাঁকে।


এদিকে ওই তরুণী বলেন, বাসুদেবের এই ঋণ তিনি কোনওদিন শোধ করতে পারবেন না।