নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভের পাল্টা আক্রমণ শানাতে শুরু করল বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভির পাশাপাশি সরব হলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রবিবার জব্বলপুরের সভায় এবার সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাহুল গান্ধীকে বিঁধলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-কলকাতা বন্দরের নাম বদল, নতুন নাম শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর


 সিএএ চালু হলে দেশের বহু প্রকৃত নাগরিক নাগরিকত্ব হারাবেন বলে দাবি করছেন একাধিক নেতা ও সংগঠন।  এদিন সভায় শাহ বলেন, ভারতে যতটা আপনাদের অধিকার রয়েছে, ততটাই রয়েছে পাকিস্তান থেকে আগত  হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, খ্রিষ্টান শরণার্থীদেরও।  আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাহুল গান্ধীকে চ্যালেঞ্জ করছি, নাগরিকত্ব আইনে এমন কোনও জায়গা দেখান যা থেকে মনে হয়েছে এদেশের কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে।  স্পষ্ট করে বলতে চাই এই আইনে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার সুযোগ নেই। নাগরিকত্ব দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী  এদিন আরও বলেন, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিরোধিতার আগে আমার সঙ্গে খোলাখুলি বিতর্কে বসুন রাহুল গান্ধী। বিরোধীদের অপপ্রচার খুব বেশিদিন ঢোপে টিকবে না। বিজেপি কর্মীরা মানুষকে এনিয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে বোঝানো শুরু করেছেন।



উল্লেখ্য, কলকাতায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠকে সিএএ নিয়ে আপত্তির কথা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার রাজবভনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর বাইরে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি হয়তো এরকম এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলার সময় এটা নয়।  কিন্তু সিএএ ও এনপিআর এর বিরুদ্ধে রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ওঁকে বলেছি, আমরা মানুষকে ভাগ করার বিরুদ্ধে। কারও বিরুদ্ধে অত্যাচার হওয়া উচিত নয়।  দয়া করা এই আইন তুলে নিন।


আরও পড়ুন-মঠে এসে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েছি, বললেন ‘ফকির’ প্রধানমন্ত্রী


এনিয়ে তাঁকে নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি। রবিবার তিনি বলেন, সংসদে নাগরিকত্ব আইন পাস হয়েছে। এই আইন গোটা দেশেই লাগু হবে। পশ্চিমবঙ্গেও এই আইন কার্যকর করা হবে।  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত ইতিহাস ও সংবিধানটা খুব ভালো ভাবে পড়ে নেওয়া। ভারতেরই রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। তাই সিএএ আইন পশ্চিমবঙ্গেও লাগু হবে।