নিজস্ব প্রতিবেদন: নিজের করা ড্যামেজ এবার নিজেই কন্ট্রোল করতে আসরে নামলেন আমিত শাহ। ভোটমুখী কর্ণাটকে প্রচার করতে গিয়ে একের পর এক ভুল করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি। কখনও অনুবাদের ভুলে তিনি বলে ফেললেন, "প্রধানমন্ত্রী মোদীই দেশকে ধ্বংস করে দেব"। আবার কখনও মুখ ফস্কে নিজেরই দলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পাকে দুর্নীতিগ্রস্থ বলে ফেললেন শাহ। অমিত শাহর এই ভুল নিয়ে ইতিমধ্যেই ঠাট্টা তামাশা করতে মাঠে নেমে পড়েছে কংগ্রেস। কিন্তু অমিতও দমবার পাত্র নয়, নিজের ভুল নিয়ে এবার মুখ খুললেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পোড় খাওয়া রাজনীতিক এবং বাকপটু হিসাবে পরিচিত অমিত শাহ শুক্রবার বলেন, "মুখ ফস্কে সিদ্দারামাইয়া সরকারের পরিবর্তে আমি ইয়েদুরাপ্পা সরকারকে দুর্নীতিগ্রস্থ বলে ফেলেছি। তবে, কংগ্রেসের এতে আনন্দ পাওয়ার কোনও দরকার নেই। কারণ, আমি ভুল করলেও, কর্ণাটকের মানুষ সিদ্ধান্ত নিতে কোনও ভুল করবেন না"। কর্ণাটকের মানুষ যে কংগ্রেসকে পুনর্নির্বাচিত করে ভুল করবে না সে কথাই বলেছেন অমিত শাহ।


আরও পড়ুন- অমিতের ভ্রান্তি বিলাস : দেশ ধ্বংস করে দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী


প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কর্ণাটকের একটি নির্বাচনী সভায় অমিত শাহ বলেন, "সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বলেছেন, যদি দুর্নীতিগ্রস্থ সরকারগুলির মধ্যে কোনও প্রোতিযোগীতা হয়, তাহলে ইয়েদুরাপ্পা সরকার সেই প্রতিযোগীতায় প্রথম স্থান অধিকার করবে..."।


শাহ যখন এই মন্তব্য করেছেন, তখন তাঁর ঠিক পাশেই বসেছিলেন কর্ণাটকের প্রাক্তন বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী তথা এবারের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। মঞ্চে উপস্থিত গেরুয়া নেতা প্রল্হাদ যোশী সভাপতির ভুলটা ধরে ফেলেন এবং কানে কানে সে কথা অমিতকে জানান। এরপরই অমিত শাহ নিজের মন্তব্য সংশোধন করে নেন। কিন্তু, ততক্ষণে যা গণ্ডগোল হওয়ার তা হয়ে গেছে। কংগ্রেস, বিজেপি সভাপতির এই মন্তব্য নিয়ে ময়দানে নেমে পড়ে। শুরু হয়েছে তুমুল মস্করা।


উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে কর্ণাটকে প্রথমবারের জন্য সরকার গড়ে বিজেপি। সেই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। কিন্তু, খনি দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়ে ২০১১ সালেই মসনদ ছাড়তে হয় তাঁকে। এরপর ২০১৬ সালে এই মামলা থেকে বেকসুর মুক্তি পান ইয়েদুরাপ্পা।


তবে, মুখ ফস্কে নিজের দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর বিরুদ্ধে এমন অস্বস্তিকর মন্তব্য করে ফেলার পরও অমিত শাহ যেভাবে তা সামলালেন তারও প্রশংসা করছে রাজনৈতিক মহল।