নিজস্ব প্রতিবেদন: বায়ুসেনার বিমান নিখোঁজ। সোমবার দুপুরে অসমের জোরহাট এয়ারবেস থেকে ওই বিমানটি উড়েছিল। তার পর থেকে বিমানটির আর কোনও খোঁজ নেই। AN-32 নামের ওই এয়ারক্রাফটে ১৩ জন রয়েছেন। অরুণাচলের মেনচুকায় ওই বিমানের অবতরণ করার কথা ছিল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে যে ওই এয়ারক্রাফটটি খুঁজতে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে একটি সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান ও C-130 Special Ops যুদ্ধবিমান।


আরও পড়ুন: বেকারত্ব নিয়ে মোদী সরকারের সমালোচনায় সরব শিবসেনা


২০০৯ সালে অরুণাচল প্রদেশে রিঞ্চি পাহাড়ের কাছে পশ্চিম সিয়াং জেলার হেয়ো গ্রামে একটি AN-32 ভেঙে পড়েছিল। ওই বিমানেও ১৩ জন ছিলেন। প্রত্যেকেই ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। বিমানের ধ্বংসাবশেষ অরুণাচল প্রদেশে ভারত-চিন নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ৬০ কিলোমিটার ভিতরে পাওয়া গিয়েছিল।


এদিনের বিমানটি অসম থেকে অরুণাচল প্রদেশ যাচ্ছিল। উড়ানের কিছুক্ষণ পর বিমানের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেবারও একইরকম ঘটনা ঘটেছিল। তখন বিমানটির অভিমুখ উল্টোদিকে ছিল। সেবার অরুণাচল প্রদেশ থেকে অসমের দিকে আসছিল বায়ুসেনার ওই AN-32 বিমানটি।


আরও পড়ুন: চাপের মুখে শিক্ষানীতির খসড়ায় বদলের ভাবনা মোদী সরকারের


AN-32 যুদ্ধবিমানটি বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় ১৯৮৪ সালে। ওই বিমানের প্রস্তুতকারক দেশ ইউক্রেন। এখন বায়ুসেনার কাছে পাঁচটি AN-32 এয়ারক্রাফট রয়েছে। পাকিস্তান ও চিনের নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনাকর্মীদের পৌঁছে দেওয়ার কাজেই এই যুদ্ধবিমানকে ব্যবহার করা হয়।


তবে ২০০৯ সালে নয়, ২০১৬ সালেও দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এই AN-32। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে চেন্নাই থেকে পোর্ট ব্লেয়ারের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময়ই একইভাবে হারিয়ে যায় ওই বিমান। তার পর অনেক তল্লাশি অভিযান হয়েছে। কিন্তু খোঁজ মেলেনি বায়ুসেনার ওই বিমান।