নিজস্ব প্রতিবেদন : গালওয়ান থেকে পিছিয়ে গিয়েছে চিনা সেনা। কিন্তু পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে এবার আরও সতর্ক ভারত। আর সেই সতর্কতাতেই সারারাত ধরে পূর্ব লাদাখের বিস্তীর্ণ এলাকায় নিশ্ছিদ্র টহলদারি বায়ুসেনার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, সোমবার সারারাত ধরে বায়ুসেনার একাধিক যুদ্ধবিমান ও চপার পুরোদমে চক্কর কাটে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে। এই নাইট অপারেশনে ব্যবহার করা হয়েছে বায়ুসেনার মিগ টোয়েন্টি নাইন, সুখোই-এর মতো যুদ্ধবিমান। পাশাপাশি নজরদারির জন্য ওড়ানো হয়েছে অ্যাপাচের মতো অ্যাটাক-রেডি আধুনিক হেলিকপ্টার। টহল দিয়েছে উচ্চ ভারবহন ক্ষমতা সম্পন্ন চিনুক হেলিকপ্টারও।



সীমান্তে শান্তির পক্ষে ভারত। কিন্তু প্ররোচিত হলে যোগ্য জবাব দেওয়ার ক্ষমতা যে ভারতের আছে, সেই বার্তাই যেন মিলল বায়ুসেনার নাইট অপারেশনে। অর্থাত্ ভারতকে হালকাভাবে নিয়ে ফের এগনোর চেষ্টা করলে যে তা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না, সে কথা স্পষ্ট করে দিল বায়ুসেনা। 


মাঝরাত। কনকনে ঠান্ডা আবহাওয়া। সেই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অ্যাপাচের রোটরের ঘটঘট শব্দ। আবহাওয়া যে উড়ানের পক্ষে একদমই আদর্শ ছিল না, তা বলাই বাহুল্য। তবুও এদিন রাতে টহলদারিতে কোনওরকম ঢিলেমি দেয়নি ভারতীয় বায়ুসেনা। 


নাইট অপারেশনে এত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে কেন? সিনিয়র ফাইটার পাইলট ক্যাপ্টেন এ রথি বলেন, "নাইট অপারেশনে একটা এলিমেন্ট অব সারপ্রাইজ থাকে। তাছাড়া দিন হোক বা রাত, যেকোনও সময়েই কোনও অপারেশনে কাজ করার মতো দক্ষতা ও ইক্যুইপমেন্ট ভারতীয় বায়ুসেনার রয়েছে।"


 



প্রথমেই ভারত চিন সীমান্তের কাছে উড়ান শুরু করে অ্যাপাচে হেলিকপ্টার। নাইট ভিশন গগলস্ পরে টেক অফ করতে দেখা যায় বায়ুসেনার পাইলটদের। 



রাত এগারোটা থেকে চক্কর শুরু করে বায়ুসেনার ফাইটার বিমানগুলি। মিগ টোয়েন্টিনাইনের বিকট শব্দ ইকো হতে থাকে পাহাড়ে ঘেরা এয়ারবেসে। আর এই শব্দই যে শত্রুপক্ষের বাহিনীর মনে ভয় ধরানোর পক্ষে যথেষ্ট তা বলাই যায়।
আরও পড়ুন : হংকংয়ে ঝাঁপ ফেলল টিকটক, আরও চাপে চিন