নিজস্ব প্রতিবেদন:  মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘বেফাঁস’ মন্তব্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে করতে হবে তার জবাবদিহি। এমনটাই দাবি নিয়ে আজ সংসদের উভয় কক্ষ হয়ে উঠল উত্তাল। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী টুইটে জানান, কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে মোদী আমেরিকার মধ্যস্থতা চেয়েছেন বলে ট্রাম্প দাবি করেছে। যদি সত্যি হয়, তা হলে দেশের স্বার্থ এবং ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তির প্রতি প্রতারণা করেছেন মোদী। এ বিষয়ে বিদেশমন্ত্রকের অস্বীকার যথার্থ নয়। দেশের কাছে প্রধানমন্ত্রীকেই বলতে হবে তাঁর এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কী আলোচনা হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করলেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধীও। তিনি হুঁশিয়ারি সুরে বলেন, এই ইস্যু নিয়ে কংগ্রেস সরব থাকে। সংসদে গুলাম নবি আজ়াদ, মণীশ তিওয়ারি প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবি করেন। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীও এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন। তাঁর অভিযোগ, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে মধ্যস্থতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর যে আর্জি করেছেন, এতে দেশের অসম্মান হয়েছে। দেশ এভাবে কারোর কাছে মাথা নোয়াতে পারে না। কিন্তু কংগ্রেস নেতা শশী থারুর গলায় উলটো সুর শোনা যায়। তিনি বলেন, আলটপকা মন্তব্য করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই মন্তব্যের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তাঁকে মধ্যস্থতা বিষয়ে আর্জি করবে হয়ত তিনি ভাবতে পারেননি।


আরও পড়ুন- ট্রাম্পের কাশ্মীর-মন্তব্যে ক্ষমা চাইলেন খোদ মার্কিন কংগ্রেস সদস্য


আজ রাজ্যসভায় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সাফ জানিয়ে দেন, কাশ্মীর ইস্যুতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মধ্যস্থতা করার মতো কোনও মন্তব্য করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কাশ্মীর সমস্যা দ্বিপাক্ষীক বিষয়। ভারত প্রথম থেকেই এই অবস্থানে বিশ্বাস করে, সন্ত্রাস এবং আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না। সংসদের উচ্চকক্ষে জয়শঙ্কর বলেন, নির্দিষ্ট করে বলতে চাই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ ধরনের কোনও মন্তব্য করেননি। এরপরও তুমুল হইহট্টগোল করতে দেখা যায় বিরোধীদের। দুপুর ১২ টা পর্যন্ত রাজ্যসভা মুলতুবি করে দেন চেয়ারম্যান।