নিজস্ব প্রতিবেদন: পাকিস্তানের নতুন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তীব্র আক্রমণ করল মোদী সরকার। নয়াদিল্লি জানাল, গত ২৪ ঘণ্টায় কয়েকটি 'নৃশংস' ঘটনায় সীমান্তের ওপারের নতুন সরকারের আসল মুখ ফাঁস হয়ে গিয়েছে।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 নিউইয়র্কে ভারত-পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর পর্যায়ের বৈঠক বাতিল ঘোষণা করেছেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার। তাঁর কথায়, গতকাল পাকিস্তানের সঙ্গে মাসের শেষে বৈঠকের কথা ঘোষণার পর দুটি অত্যন্ত ঘৃণ্য ঘটনা ঘটেছে। আমাদের জওয়ানকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদীকে নিয়ে পোস্ট স্ট্যাম্প ছাপিয়ে তাকে গৌরবাণ্বিত করেছে পাকিস্তান। এতে স্পষ্ট, পাকিস্তান নিজের পথ শোধরায়নি।


 আগামী সপ্তাহের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে রাষ্ট্রসঙ্ঘের বৈঠকের ফাঁকে দু'দেশের বিদেশমন্ত্রীর আলোচনা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিতে অনুরোধ করেছিলেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেই অনুরোধে সাড়া দেয় নয়াদিল্লি। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার ঘোষণা করেন, আগামী সপ্তাহে নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের বৈঠকের ফাঁকে আলোচনায় বসবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। 


কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই সিদ্ধান্তবদল কেন? রবীশ কুমারের ব্যাখ্যা, ''প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রীর দুটি চিঠির পর সৌজন্যবশত নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের বৈঠকের মাঝে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠকের প্রস্তাবে সম্মতি দেওয়া হয়েছিল। সন্ত্রাসবাদের অবসানে ইতিবাচক পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছিল ওই চিঠিতে। তবে এটা স্পষ্ট, পাকিস্তানে দুরাভিসন্ধি ফাঁস হয়ে গিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যেই খুলে গিয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুখোশ। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সঙ্গে যে কোনও ধরনের আলোচনাই অনর্থক। তাদের সঙ্গে কোনও বৈঠক হবে না''।


প্রসঙ্গত, গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন ইমরান খান। ওই চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, 'ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বিবাদের অবসান চাইছেন দু'দেশের নাগরিকরা। এর মধ্যে রয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের মতো সমস্যার সমাধানে, মতপার্থক্যের অবসানে সেতুবন্ধন সমঝোতা করা দরকার'। বাজপেয়ীর প্রসঙ্গ তুলে ইমরান লিখেছেন, 'দু'দেশের দেশের মধ্যে সেতুবন্ধন করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী'। এরপরই ইমরানের আবেদন, রাষ্ট্রসঙ্ঘের বৈঠকের ফাঁকে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীরা বৈঠক করলে আনুষ্ঠানিক আলোচনাপ্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা বন্ধ রয়েছে। তবে নয়াদিল্লি স্পষ্ট করেছে, আলোচনাপ্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে না। করতারপুর করিডর খোলা নিয়ে কি আলোচনা হতে পারে?


আরও পড়ুন- মধ্যবিত্তের ক্ষতে মলম দিতে একাধিক সঞ্চয় প্রকল্পে সুদের হার বাড়াল মোদী সরকার