নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজনীতি ও ক্রীড়া। ২০১৯ সালে দুটি ক্ষেত্রেই দুটি মেগা ইভেন্ট রয়েছে। একদিকে মার্চ থেকে মে, লোকসভার লড়াই চলবে। অন্যদিকে জুন থেকে শুরু হয়ে যাবে ক্রিকেটের বিশ্বকাপ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভারত ও ইংল্যান্ডের মাটিতে হতে চলা এই লড়াইয়ের ফল কী হবে, তা ২০১৮-র শেষে বসে জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তাঁর ভবিষ্যত্ বাণী, নরেন্দ্র মোদী লোকসভা নির্বাচনে জিতে দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হবেন। আর বিশ্বকাপ উঠবে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির হাতে।


আরও পড়ুন: টাকার দরে রেকর্ড বৃদ্ধি, ৭১ টাকার নীচে নামল ডলার


মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের কাছে এমনই মত ব্যক্ত করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। রাজনীতির ময়দানে এই অভিজ্ঞ নেতার ক্রিকেট প্রশাসন চালানোর অভিজ্ঞতাও রয়েছে। লোধা কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ক্রিকেট প্রশাসন থেকে তাঁকে বেরিয়ে আসতে হয়েছে। কিন্তু দুই ক্ষেত্রের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই তিনি এই মত দিয়েছেন।


কারণ, কেন তিনি এই কথা বলছেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন অরুণ জেটলি। তিনি বলেন, ''প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি নিজের ক্ষেত্রে অসাধারণ। তাঁদের হারানো একেবারে সহজ নয়।''


আরও পড়ুন: কংগ্রেসের লাগাম ছাড়া দুর্নীতি জেরে ৬০ বছর ঘুমায়নি দেশবাসী: রবিশঙ্কর


আগামী বছর লোকসভা ভোটে বিরোধী মহাজোটের জয় সম্ভব নয়। কারণ, তাঁর ব্যাখ্যা, ওই মহাজোটকে ভোট দেওয়া দেশবাসীর আত্মহত্যার সামিল হবে। কারণ, এই জোটের কোনও নীতি নেই। কোনও স্থায়িত্বও নেই। কে এই জোটের নেতা, তাও কেউ জানে না। তাই তাঁর প্রশ্ন, ''কোন দেশের নাগরিক এমন আত্মহত্যা করতে চাইবে?''


এছাড়া রাফালে ও বিজয় মালিয়া ইস্যুতে তিনি তোপ দেগেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে। দুটি ঘটনাতেই রাহুল মিথ্যা বলছেন বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। অরুণ জেটলির কথায়, "দীর্ঘদিন রাজনীতিতে টিকে থাকতে গেলে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে হয়। মিথ্যা বেশিদিন স্থায়ী হয় না।''


আরও পড়ুন: কংগ্রেসের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে কৃষিঋণ মকুব করল বিজেপি সরকার


ভারতীয় বায়ুসেনার ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ইউপিএ সরকার সেদিকে নজর দেয়নি। বিজেপির সরকার ক্ষমতায় আসতেই বিষয়টি নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করা হয় বলে তিনি এদিন দাবি করেছেন। এই ধরনের বিমান বায়ুসেনার কাছে থাকলে আরও কম সময়ে কারগিল যুদ্ধ শেষ করা যেত বলে মনে করছেন তিনি।


তাঁর কথায়, ২০০১ সালে বায়ুসেনার তরফে নতুন যুদ্ধবিমানের দাবি জানানো হয়েছিল। তার ১৩ বছর পর মোদী ক্ষমতায় এসে সেই যুদ্ধবিমানের ব্যবস্থা করলেন। আর ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলে কম দামেই চুক্তি হল। ইউপিএ আমলে এর থেকে বেশি দামে ওই যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল।


আরও পড়ুন: ছোট ব্যবসায়ীদের বাঁচাতে অনলাইনে দেদার ছাড়ে রাশ টানতে চলেছে কেন্দ্র


তিনি রাফালে ইস্যুতে বিরোধীদের যৌথ সংসদীয় কমিটি তৈরির দাবিও উড়িয়ে দিয়েছেন। জাতীয় নিরপত্তার স্বার্থে ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতেই এই কমিটি গঠন উচিত নয় বলে তিনি মনে করেন। এর ফলে অযথা সময় নষ্ট হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।