ওয়েব ডেস্ক: আমরা প্রত্যেকেই জানি যে ভগবান হনুমান অমর এবং একইসঙ্গে ব্রহ্মচারীও। ভগবান হনুমান তাঁর শক্তি এবং সাহসীকতার জন্য সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পূজিত। কিন্তু একটা বিষয় জানলে আশ্চর্য লাগবে। জানেন কি আমাদের দেশেই এমন একটা জায়গা রয়েছে, যেখানে ভগবান হনুমান নারী রূপে পূজিত হন? চমকে গেলেন তো? তাহলে বিশদে বিষয়টা জেনে নিন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন বাস ভাড়া করা হোক এই পদ্ধতিতে, তাতে লাভ হবে সকলের


হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়েছেন। নারী রূপে পূজিত হন ভগবান হনুমান। ছত্তিশগড়ের রতনপুর জেলার গীর্জাবন্ধের একটি মন্দিরে ভগবান হনুমানের এমন রূপ দেখতে পাওয়া যায়। একটি সূত্র থেকে এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে। এমনও জানা গিয়েছে যে, এটিই বিশ্বের একমাত্র মন্দির যেখানে দেবীরূপে পূজিত হন রামভক্ত হনুমান। আশ্চর্যভাবে ভগবান হনুমানের এই বিগ্রহেও শ্রীরাম এবং সীতা মাকে তাঁর দুই কাঁধে বহন করতে দেখা যাবে। দক্ষিণদিকে এই বিগ্রহের মুখ থাকার কারণে ভগবান হনুমানকে এখানে ‘দক্ষিণা মূর্তি’ও বলা হয়।


ভগবান হনুমানের এমন বিগ্রহ স্থাপনের পিছনের ইতিহাস-


রতনপুরে বহু বছর আগে পৃথ্বভি দেবজু নামে এক রাজা ছিলেন। তিনি ভগবান হনুমানের খুব বড় ভক্ত ছিলেন। তিনি কুষ্ঠ রোগে ভুগছিলেন। একদিন রাতে ভগবান হনুমান তাঁকে স্বপ্নে দেখা দেন। এবং স্বপ্নে তাঁকে তাঁর মন্দির স্থাপনের নির্দেশ দেন। ভগবান হনুমানের স্বপ্নাদেশ পাওয়ার পরই রাজা তাঁর অনুচরদের মন্দির তৈরি করার নির্দেশ দেন।


আরও পড়ুন স্কুলের প্রশ্নপত্রে বিরাট কোহলির প্রেমিকার নাম জানতে চাওয়ার প্রশ্ন!


যখন মন্দির তৈরি করা প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে, তখন রাজা ফের স্বপ্নাদেশ পান। এবার ভগবান হনুমান আদেশ করেন যে, তাঁর বিগ্রহ দেবী মহামায়ার আদলে গড়তে। রাজাও স্বপ্নাদেশ অনুযায়ী বিগ্রহ তৈরি করেন। দেবী মহামায়ার আদলে ভগবান হনুমানের বিগ্রহ দেখে তিনি নিজেও আশ্চর্য হয়ে যান। মন্দির সম্পূর্ণ হওয়ার পরই রাজা কুষ্ঠ মুক্ত হন।