নিজস্ব প্রতিবেদন: মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের কাছে নতজানু হয়ে বসে পুলিস আধিকারিক। করজোড়ে প্রনাম করছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। শনিবার এই ছবি ঘিরেই শোরগোল পড়ল সোশ্যাল মিডিয়ায়। কী ভাবে ঊর্দি পরা একজন পুলিসকর্মী মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাঁটু গেড়ে বসতে পারেন, প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গুরু পূর্ণিমা উপলক্ষে গোরক্ষনাথ মন্দিরে গিয়েছিলেন মন্দিরের প্রধান পুরোহিত তথা উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেখানেই তাঁর পায়ের সামনে হাঁটু গেড়ে বসেন গোরক্ষনাথের সার্কেল ইন্সপেক্টর প্রবীণ কুমার। তখন মন্দিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। যোগীর সামনে বসে তাঁর আশীর্বাদ গ্রহণ করেন তিনি। সেই ছবি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্টও করেছিলেন ওই আধিকারিক। পরে তা সরিয়ে নেন। 


বিতর্কের মুখে প্রবীণ কুমার জানিয়েছেন, 'আমি মন্দিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলাম। আমার ডিউটি শেষ হওয়ার পরই আমি যোগীর কাছে আশীর্বাদ নিতে যাই। তখন যোগীর কাছে অনেকেই আশিস গ্রহণ করছিল। আমি যোগীর কাছ থেকে আশীর্বাদ নেওয়ার আগে পুলিসের বেল্ট, পুলিসের টুপি ও অন্যান্য সমস্ত প্রশাসনিক চিহ্ন পোশাক থেকে খুলে রেখেছিলাম। মাথা রুমাল দিয়ে ঢেকে আমি পিঠাধীশ মোহন্ত যোগী আদিত্যানাথের আশীর্বাদ নিয়েছি। এটা সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত আস্থার বিষয়।' 


Pics: সাপ এখানে দেবী, পূর্ব বর্ধমানের গ্রামে তাই সাপের কামড় 'প্রসাদ'


গোরক্ষনাথ মন্দিরে বছরে ২ দিন ভক্তদের আশীর্বাদ করেন মোহন্ত যোগী আদিত্যনাথ। গুরু পূর্ণিমা ছাড়াও দশেরার দিন শিষ্যদের গুরু হিসাবে আশীর্বাদ করেন তিনি। প্রবীণ কুমারের দাবি, নিজের কর্তব্যে এতটুকু ঢিলে দেননি তিনি। উপেক্ষা করেননি ব্যক্তিগত আস্থাকেও। 


মুখ্যমন্ত্রী সামনে প্রশাসনিক কর্তাদের নানা আচরণ বিভিন্ন সময় আলোচনার কেন্দ্রে এসেছে। বরিষ্ঠ পুলিসকর্তাদের দাবি, এই ব্যাপারে পুলিস ম্যানুয়ালে স্পষ্ট করে কিছু লেখা নেই। তবে ঊর্দির মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এমন কাজ না করাই ভাল।