ওয়েব ডেস্ক: দেশকে কালো টাকা মুক্ত করার জন্যই নোট বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাতিল করে দিয়েছেন সমস্ত ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট। এতে বেশ বেকায়দায় পড়ে গিয়েছে কালো টাকার মালিকেরা। তারা এখন বহুদিন ঘরে জমিয়ে রাখা বিপুল পরিমান টাকা না পারছে ব্যাঙ্কে জমা করতে, না পারছে কাছে রাখতে আর না পারছে পুরনো নোট বদলে নতুন করতে। গরীব মানুষ কিছুটা হয়রানির মধ্যে পড়লেও, প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপকে সমর্থনই করছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন ১ বলে ২০ রান করলেন ব্যাটসম্যান, বিশ্বরেকর্ড!


এবার কালো টাকার মালিকদের জন্য আরও কড়া কেন্দ্র। হিসাব বহির্ভূত টাকার উপর করের বোঝা কতটা চাপানো হবে, তা নিয়ে লোকসভায় বিল পাশ হয়ে গেল। এবার হিসাব বহির্ভূত টাকা জমা করতে গেলে ৫০ শতাংশ কর দিতে হবে। এবং হিসাব বহির্ভূত টাকা ধরা পড়ে গেলে ৮৫ শতাংশ কর দিতে হবে।


আরও পড়ুন চিড়িয়াখানায় খাঁচা ভেঙে বাইরে বেড়িয়ে এল বাঘিনী! জানুন তারপর সে কী করল


কালো টাকা লুকিয়ে আর পার পাওয়া যাবে না। ধরা পড়লে, মোট অঙ্কের পঁচাশি শতাংশই চলে যাবে সরকারি কোষাগারে। তবে সময়মত কালো টাকা ঘোষণা করলে কর ও জরিমানার পরিমাণ হবে পঞ্চাশ শতাংশ। কালো টাকার কারবারিদের ওপর আইনের ফাঁস আরও আঁটোসাঁটো করতে এবার আয়কর আইন সংশোধনের প্রস্তাব দিল কেন্দ্র।


রাতারাতি বাতিল হাজার-পাঁচশোর নোট। ব্যাঙ্কে-এটিএম লম্বা লাইন। নোটের হাহাকার কিছুটা কমলেও, নোট বাতিল ইস্যুতে পথে নেমেছে বিরোধীরা। কিন্তু অনড় প্রধানমন্ত্রী। কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।  নোট বাতিলেই যে যুদ্ধ শেষ হয়নি, তা ফের বুঝিয়ে দিলেন তিনি।


কর ফাঁকি রুখতে আরও কঠোর কেন্দ্র। কালো টাকার কারবারিদের জন্য এবার তাই আরও কড়া দাওয়াই। লোকসভায় পেশ হল আয়কর সংশোধনী বিল। নোট বাতিলের পর একাধিক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিয়ে আর রেহাই নেই। লুকনো টাকা ধরা পড়লে প্রায় সবটাই কর-জরিমানায় চলে যাওয়ার বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে নতুন বিলে।


কালো টাকা ধরা পড়লে মোট অঙ্কের ৮৫%  চলে যাবে কর-জরিমানায়


মোট অঙ্কের ওপর সরাসরি ৬০% কর দিতে হবে।


করের ওপর ২৫% সারচার্জ বসবে।


এছাড়াও ১০% জরিমানা দিতে হবে।


তবে সময়মত কালো টাকা ঘোষণা করলে কর এবং জরিমানার পরিমাণ কিছুটা কমবে।


প্রধানমন্ত্রীর গরিব কল্যাণ যোজনার আওতায় কালো টাকা জমা দিলে করের পরিমাণ হবে ৩০%।


করের ওপর ৩৩% সারচার্জ বসবে, দিতে হবে ১০% জরিমানা।


অর্থাত্‍ কর-জরিমানা বাবদ ঘোষিত কালো টাকার প্রায় ৫০% দিতে হবে।


এছাড়া ঘোষিত কালো টাকার ২৫% দারিদ্র দূরীকরণ প্রকল্পে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।


৪ বছরের জন্য গচ্ছিত ওই টাকায় কোনও সুদ মিলবে না।


কালো টাকা উদ্ধারেই লড়াই শেষ নয়। গরিবদের বঞ্চিত করে যে কালো টাকার পাহাড় তৈরি হয়েছে, তা এবার সামাজিক প্রকল্পে কাজে লাগানো হবে। এটাই মোদীর মাস্টারস্ট্রোক। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনমনীয় যোদ্ধা মোদী যে কতটা গরিব দরদী, আম আদমিকে সম্ভবত সেই বার্তাই দিতে চাইলেন তিনি।