নিজস্ব প্রতিবেদন: আর্থিক বৃদ্ধির পর মোদী সরকারের কাছে আরও একটা হাতিয়ার! গতবছরের একই সময়ের চেয়ে চলতি বছরের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত আয়কর জমা দেওয়ার হার ৭১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সংবাদ সংস্থা এএনআই দাবি করেছেন, চলতি বছরের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত ৫.৪৫ কোটি টাকার আয়কর দাখিল হয়েছে। গতবছর একইসময়ে তার পরিমাণ ছিল ৩.১৭ কোটি। কর ব্যবস্থার আওতায় আরও বেশি মানুষকে আনতে চাইছে মোদী সরকার। এই পরিসংখ্যান নিশ্চিতভাবে সরকারকে স্বস্তি দেবে। 


চলতি সপ্তাহেই আরবিআই বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করে জানিয়েছে, বিমুদ্রাকরণের পর বাতিল নোটের ৯৯.৩ শতাংশই ফিরে এসেছে। ফলে নোট বাতিল কতখানি সফল, সেই প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। তার জবাবে অরুণ জেটলি বলেন, ''টাকা ফেরত না আসাই কি নোটবন্দির একমাত্র লক্ষ্য ছিল? একেবারেই নয়। কর ফাঁকির ব্যবস্থা দূর করে আরও বেশি মানুষকে করের আওতায় আনাই ছিল নোট বাতিলের বৃহত্তর লক্ষ্য''।


অনেকই মনে করছেন, কর দাখিলের জন্য জোর প্রচার চালিয়েছে আয়কর দফতর। এর পাশাপাশি একাধিক পদক্ষেপও করা হয়েছে। যাঁরা কর দাখিল নির্দিষ্ট সময়ে করতে পারেননি,  আর্থিক আইন ২০১৭ অনুযায়ী তাঁদের জন্য পরে জমা দেওয়ার সুবিধা কয়েছে। অর্থ বর্ষ শেষ হওয়ার আগে নির্দিষ্ট পরিমাণ জরিমানা দিতে কর দিতে পারেন তাঁরা। 


শুক্রবার কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান দফতর জানায়, এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮.২ শতাংশ। উত্পাদন ও ভোগ্যপণ্য ক্ষেত্রের ভাল ফলে ঊর্ধ্বগতি পেয়েছে আর্থিক বৃদ্ধি। উত্পাদন, বিদ্যুত ও গ্যাসের মতো ক্ষেত্রগুলির বৃদ্ধি ৭ শতাংশের বেশি। ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে জুলাই সেপ্টেম্বরে জিডিপি-র হার ছিল ৮.৪ শতাংশ। তারপর ফের শিখরে আর্থিক বৃদ্ধি। এই ত্রৈমাসিকে উত্পাদন ক্ষেত্র বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩.৫ শতাংশ হারে।  


চলতি সপ্তাহেই আবার আরবিআইয়ের পরিসংখ্যান বলছে, নোট বাতিলের পর বাতিল নোটের ৯৯.৩ শতাংশই ফিরে এসেছে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায়। রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন, নোটবন্দি বড়সড় দুর্নীতি। নিজের শিল্পপতি বন্ধুদের সুবিধা পাইয়ে দিতে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। 


ফলে নোটবন্দির পরিসংখ্যান নিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল মোদী সরকার। কিন্তু জিডিপি ও আয়কর দাখিলের পরিসংখ্যান নিশ্চিতভাবেই বিজেপিকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে জোড়া হাতিয়ার দিল বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। 


আরও পড়ুন- 'ষড়যন্ত্রে'র জবাব দিতে বাম ছেড়ে রামে সিপিএমের প্রবীণ নেতা