অসৌজন্যের তেজ-প্রতাপ! বিয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে আগুন লাগানোর হুমকি লালুপুত্রের
দিন কয়েক বাদেই সুশীল মোদীর ছেলের বিয়ে। সেই অনুষ্ঠানেই সপরিবার লালুপ্রসাদকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী। আর আমন্ত্রণ পেয়েই রেগে কাঁই লালুপ্রসাদের বড় ছেলে তেজপ্রতাপ যাদব। তাঁর সাফ কথা, `আমি যদি এই বিয়েতে যাই তাহলে ওর (সুশীল মোদী) বাড়িতেই ওকে মারব। আগুন জ্বালিয়ে দেব সব জিনিসে। তাহলে লোকে বুঝবে ঠিক কতটা বেআইনি সম্পত্তি তৈরি করেছে সে।`
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিয়ের নিমন্ত্রণের পাল্টা 'সব জ্বালিয়ে' দেওয়ার হুমকি! ভারতীয় রাজনীতিতে অসৌজন্যের নতুন নজির তৈরি করলেন বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজপ্রতাপ যাদব। বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা সে রাজ্যে বিজেপির প্রধান মুখ সুশীল কুমার মোদীর ছেলের বিয়েতে আমন্ত্রণ পেয়ে বিয়ে বাড়িতে অগ্নিসংযোগের হুমকি দিলেন তিনি।
দিন কয়েক বাদেই সুশীল মোদীর ছেলের বিয়ে। সেই অনুষ্ঠানেই সপরিবার লালুপ্রসাদকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী। আর আমন্ত্রণ পেয়েই রেগে কাঁই লালুপ্রসাদের বড় ছেলে তেজপ্রতাপ যাদব। তাঁর সাফ কথা, "আমি যদি এই বিয়েতে যাই তাহলে ওর (সুশীল মোদী) বাড়িতেই ওকে মারব। আগুন জ্বালিয়ে দেব সব জিনিসে। তাহলে লোকে বুঝবে ঠিক কতটা বেআইনি সম্পত্তি তৈরি করেছে সে।"
কিন্তু হঠাত্ কেন এত রেগে গেলেন তেজপ্রতাপ?
'অপমানিত' করার জন্যই সুশীল মোদী তাঁদের আমন্ত্রণ করেছেন বলে দাবি তেজপ্রতাপের। আর তাই এমন ক্ষেপে গিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, বুধবারই লালুর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী বলেন, বিহারের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর গলা কাটতে প্রস্তুত। রাবড়ি দেবীর এমন মন্তব্যকে অবশ্য বিহারের এক প্রবীন বিজেপি নেতার কথার প্রতিক্রিয়া হিসাবেই ধরছে রাজনৈতিক মহল। ওই নেতা বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর যারা আঙুল তুলবেন তাদের 'আঙুল কেটে নেওয়া উচিত'। আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীর গলা কাটতে তৈরি বিহারের অনেকেই, বেলাগাম রাবড়ি
ভারতীয় রাজনীতিতে এমন অসৌজন্যের নজির যদিও সাম্প্রতিক। স্বাধীনতার পর থেকে সংসদে যুযুধান দু'পক্ষের নেতারা ব্যক্তিগত পরিসরে অবাধে মতবিনিময় করেছেন। বিরোধী দলনেতার পরিবারের সদস্যরা হয়ে উঠেছেন মন্ত্রীদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। পশ্চিমবঙ্গে দুই শিবিরের দুই নেতা সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় ও জ্যোতি বসুর বন্ধুত্ব তো সর্বজনবিদিত।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ক্ষমতা হারিয়ে উন্মাদের মতো আচরণ করছেন রাজদ (রাষ্ট্রীয় জনতা দল) নেতারা। আর তাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তেজপ্রতাপ। তাঁর এই ব্যধি রাজনীতিতে ছড়ালে দেশটা সোমালিয়া হতে কতদিন লাগবে? প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, বিহারের মহাজোট ছেড়ে বিজেপির হাত ধরেছেন নীতিশ কুমার। দুর্নীতি প্রশ্নে লালুর দলের সঙ্গ ত্যাগ করেছিলেন নীতীশ। আর সেই ঘটনার পর থেকেই জেডিউ নীতিশকে 'বিশ্বাসঘাতক' বলার পাশাপাশি রাজ্যের বিজেপি-জেডিইউ জোটের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে।