নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তাপ কমছে ভারত-চিন সীমান্তে। লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা এলএসির সমস্যা নিয়ে দুদেশের মধ্যে কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক মিলল সেই বার্তা। দুপক্ষই খানিকটা নমনীয় অবস্থান নিচ্ছে বলেই কূটনৈতিক মহলের একাংশের ধারনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পূর্ব লাগাখে চিনে সেনা তত্পরতা ও এলএসি নিয়ে দুদেশের মধ্যে সংঘাত কম করতে শনিবার দুদেশের মধ্যে কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে ঠিক হয়েছে, অতীতের বিভিন্ন চুক্তির ওপরে নির্ভর করে সীমান্ত উত্তেজনা শান্তিপূর্ণভাবেই মিটিয়ে ফেলা হবে। এমনটাই জানানো হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। প্রসঙ্গত, গতকাল বিষয়টি নিয়ে লাদাখের মালদোতে একটি বৈঠক হয়।


আরও পড়ুন-বন্ধ বাড়ি থেকে সুরজিত্ কর পুরকায়স্থের প্রাক্তন স্ত্রী ও শাশুড়ির দেহ উদ্ধার


বিদেশ মন্ত্রক থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুদেশের মধ্যে কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক শান্তিপূর্ণ ও ইতিবাচক হয়েছে। ভারত ও চিনের মধ্যে সীনান্ত নিয়ে যে চু্ক্তি হয়েছিল তার ওপরে নির্ভর করেই দুদেশের মধ্যেকার সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া হবে।


গতকাল ভারতের তরফে প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারিন্দর সিং ও চিনের পক্ষে ছিলেন তিব্বত মিলিটারি ডিস্ট্রি্ক্টের প্রধান।


সমস্যা আসলে কোথায়


ভারতের বক্তব্য ভারত-চিন সীমানায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলএসি বরাবর লাদাখ ও সিকিমে সেনা টহলে বাধা দিচ্ছে চিন। অন্যদিকে, চিন দাবি করেছিল ভারতীয় সেনা চিনের এলাকায় ঢুকে পড়ছে। ভারত ওই দাবি অস্বীকার করেছে।


গত ৫ ও ৬ মে প্যাঙ্গন লেকের পূর্ব দিকে চিনা সেনার সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন ভারতীয় জওয়ানরা। ওই লেকের আসপাশের এলাকায় ৪টি ফিঙ্গারে সেনা সংখ্যা বাড়িয়েছে বেইজিং।


ওই সংঘাতের পর এলাকায় চিন সেনার তত্পরতা বেড়েছে। কিছুদিন আগেই বেশ কয়েকটি চিনা কপ্টারকে লাদাখে চিন-ভারত সীমানায় চক্কর দিতে দেখা গিয়েছিল। সেগুলিকে তাড়া করে ভারতের বায়ুসেনার বিমান।


লাদাখের উত্তরের দৌলত বেগ ওল্ডি এলাকাতে চিনা সেনার আনাগোনা বেড়েছে।


আরও পড়ুন-সেলুনে চুল কাটতে গিয়ে ফেসবুকে ছবি শেয়ার করলেন কলকাতা সিপি অনুজ শর্মা, লিখলেন 'শায়েরি'


সম্প্রতি দৌলত বেগ ওল্ডি এলাকা পর্য্ন্ত একটি রাস্তা তৈরি করছে ভারত। তাতে বাধা দিচ্ছে চিন।


অন্যদিকে, লাদাখ থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে তিব্বতে একটি বিমানবন্দরে নতুন একটি রানওয়ে তৈরি করছে চিনা সেনা। সেখানে ফাইটার জেটও মোতায়েন করেছে। এরই প্রতিবাদ করে আসছে ভারত।