সীমান্ত পেরিয়ে হাতির অবাধ আনাগোনা নিয়ন্ত্রণে এবার হাত মেলাল ভারত ও বাংলাদেশ। গতকাল কলকাতায় দুদেশের বনকর্তাদের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এবিষয়ে নির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরি হয়েছে। ধারাবাহিক পর্যালোচনার ভিত্তিতে পরবর্তীকালে এবিষয়ে দ্বিপাক্ষিক মউ স্বাক্ষরের সম্ভাবনাও প্রবল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জঙ্গল লাগোয়া  লোকালয়ে হাতির হানা বাড়ছে দিনকে দিন। তবে জঙ্গল ছেড়ে শুধু লোকালয়ে হানাই নয়, হাতির পালের দেশান্তরী  হওয়ার ঝোঁকও বড় কম নয়। হাতির এই অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণেই এবার নড়েচড়ে বসল ভারত ও বাংলাদেশের বনদফতর। কলকাতায় আয়োজিত  উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে রাজ্যের বনকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।


হাতির অবাধ আনাগোনায়  নজরদারি ও দ্বিপাক্ষিক সমন্বয়ের লক্ষ্যে ঠিক হয়েছে,


ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে যত হাতির করিডর রয়েছে , তা ফিরিয়ে দিতে হবে।


হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব রুখতে দু দেশেই এলিফ্যান্ট ম্যানেজমেন্টে জোর দেওয়া হবে।


ইন্দো বাংলা সীমান্তে হাতির আনাগোনা সম্পর্কে দু দেসের বনদফতর তথ্য আদানপ্রদান করবে।


হাতির দাঁতের চোরাকারবার মোকাবিলায় কড়া হাতে মোকাবিলা করা হবে।


দুদেশই হাতি সংক্রান্ত সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করবে। হাতির হানাদারির জট খুলতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা চান  ওপারের বনকর্তারা। ভারতীয় বনদফতরের শীর্ষমহলও আশাবাদী। এছাড়াও বৈঠকে  সুন্দরবন নিয়ে ট্রান্স বর্ডার প্রোটেক্টেড এরিয়া কনসেপ্টের প্রস্তাবও দেওয়া হয় সুন্দরবন বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের তরফে।  উত্‍সাহী ওপারের বনকর্তারা বিষয়টি নিয়ে সরকারিস্তরে দৃষ্টি আকর্ষণের আশ্বাস দিয়েছেন।