নিজস্ব প্রতিবেদন:  ভারত-চিন সংঘাতের আবহে দু’ দেশের মেজর জেনারেল পর্যায়ের বৈঠকেও অধরা সমাধান সূত্র। পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায়, চিনের বর্বরতার উপযুক্ত জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
ইতিমধ্যেই জম্মু কাশ্মীর থেকে ভারতীয় সেনা লাদাখ সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে। পাশাপাশি, উত্তরাখণ্ড থেকেও লাদাখ রওনা দিয়েছে আইটিবিপি জওয়ানরা। এদিকে, গতকাল ভারত-চিন দু’ দেশের মেজর জেনারেল পর্যায়ে তিনঘণ্টা ধরে বৈঠক হয়। কিন্তু কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি বলে সূত্রের খবর। এদিকে, গালওয়ান উপত্যকা নিয়ে চিনের দাবিও মানা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক।
উত্তরাখণ্ড থেকে লাদাখের দিকে রওনা দিল আইটিবিপি। জম্মু কাশ্মীর থেকে লাদাখ যাচ্ছে সেনা। বুধবার ফোনে আলোচনা করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়্যাং ওয়াই। আলোচনার পর দুই দেশই সীমান্তে শান্তি ফেরাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে চিনের বিদেশমন্ত্রক।
প্রসঙ্গত, বুধবারই বিবাদ মেটানোর বার্তা দিয়েছে বেজিংও। চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, আমরা চাই না আবারও সংঘর্ষ হোক। আলোচনার মাধ্যমে শান্তি ফেরানোর পক্ষে সওয়াল করে চিনা বিদেশমন্ত্রক। পাশাপাশি ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বেজিং জানায়, "আবারও সীমান্ত পেরিয়ে চিনের এলাকায় প্রবেশ করলে ও একতরফা আগ্রাসী পদক্ষেপ করা হলে সেক্ষেত্রে সীমান্ত পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।"
আরও পড়ুন-'ন্যূনতম ভাড়া করতে হবে ৫০ টাকা', ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি বেঙ্গল ট্যাক্সি ইউনিয়নের


অন্যদিকে, বুধবারই বিভিন্ন রাজ্যের মন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সের আগে এ বিষয়ে নিজের অবস্থান জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ভারত শান্তি চায়। কিন্তু প্রয়োজনে যে কোনও পরিস্থিতিতে ভারত পাল্টা জবাব দেওয়ার ক্ষমতা রাখে, স্পষ্ট জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।