নিজস্ব প্রতিবেদন:  লাদাখে ইন্দো-চিন সংঘর্ষের জেরে উদ্বেগপ্রকাশ রাষ্ট্রপুঞ্জের। রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবের অফিসের বিবৃতি,"ভারত-চিন দু’দেশকেই সংযত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। দু’দেশই উত্তেজনা কমাতে উদ্যোগী হয়েছে। এই প্রচেষ্টা সন্তোষজনক।"
ইতিমধ্যেই হিমাচলপ্রদেশে  হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। চিনা সীমান্ত লাগোয়া কিন্নৌর, লাহুল-স্পিতিতে সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। হিমাচল পুলিশের মুখপাত্র খুশল শর্মা জানিয়েছেন, সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সুরক্ষায় সবরকম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হচ্ছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এদিনে সীমান্তের সংঘর্ষে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি টুইট করেন, "আমাদের সেনাবাহিনীর বলিদান বৃথা যাবে না। শূন্য তাপমাত্রায় আমাদের সার্বভৌমত্বের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করার জন্য দেশ তাঁদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে - আমরা সুরক্ষিত রয়েছি কারণ, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যে কোনও বলিদানের জন্য সদা প্রস্তুত রয়েছে। "



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


নিহত ভারতীয় জওয়ানদের তালিকায় রয়েছেন বীরভূমের মহম্মদবাজারের বাসিন্দা রাজেশ ওরাং। তাঁকে স্যালুট জানিয়ে রাজ্যপাল লেখেন, "বীর জওয়ানকে স্যালুট, তাঁর পরিবারকে জানাই সমবেদনা। দেশ তাঁর বলিদান ভুলবে না।"


 




এদিকে গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে চলেছে আমেরিকা। শান্তিপূর্ণভাবে এই সমাধানের পথ খোঁজার পরামর্শ দিচ্ছে ট্রাম্পের দেশ।


 



সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই ২০ ভারতীয় জওয়ান শহিদ হয়েছেন বলে দাবি করেছে এএনআই। রাত ১০টা নাগাদ সংস্থার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। গুরুতর জখম কমপক্ষে ১৭।


 


সোমবার রাতে গালোয়ান উপত্যকায় অতর্কিতে ভারতীয় সেনার উপর আক্রমণ চালায় চিনের সেনা। ভারতীয় সেনার তরফে এ দিন জানানো হয়, পারস্পরিক শান্তি চুক্তি মেনে সেনা সরিয়ে আনা হয়। সেনা সূত্রে খবর, গোলাগুলি নয়, পাথর, রড নিয়ে হামলা চালায় চিনের জওয়ানরা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতও। চিনের তরফে দাবি করা হয়েছে, তাদের ৫ জওয়ান নিহত হয়েছে।