নিজস্ব প্রতিবেদন : "চিন একাধিকবার LAC লঙ্ঘন করেছে। সেনা পরিকাঠামো তৈরি করছে কয়েকমাস ধরে। এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে বার ছয়েক চিন LAC লঙ্ঘনের চেষ্টা করে। চিন আগ্রাসন নিয়ে ব্যর্থ হয়েছে গোয়েন্দা রিপোর্ট।" সর্বদল বৈঠকে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, "টেলিকম, রেল, অসামরিক বিমান পরিবহনের মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় চিনকে ঢুকতে দেওয়া ঠিক হবে না। চিন সবসময় বিগ ব্রাদারের মত আচরণ করবে, এটা মানা যায় না।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনের আগ্রাসনের চেষ্টা, চিনা বাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় সেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ২০ জন জওয়ানের মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে আজ সর্বদল বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন সোনিয়া গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শরদ পাওয়ার, নীতিশ কুমার, উদ্ধব ঠাকরে, কেসিআর, মায়াবতী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং প্রমুখ। গালওয়ানের সংঘর্ষ নিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীও গোয়েন্দা রিপোর্ট ব্যর্থ হওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন। সরকার কি আগাম উপগ্রহ চিত্র পায়নি? গোয়েন্দা রিপোর্টে কি সতর্কবার্তা ছিল না? প্রশ্ন তোলেন তিনি। কেন ২০ জন জওয়ানকে শহিদ হতে হল? সর্বদল বৈঠকে প্রত্যেক বিরোধী নেতৃত্ব-ই এই প্রশ্ন তোলেন। পাশাপাশি, বিদেশি শক্তির মোকাবিলায় একযোগে লড়ার বার্তা দেন প্রত্যেকেই।




তবে সোনিয়া গান্ধী কিংবা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, গোয়েন্দা রিপোর্ট ব্যর্থ হওয়ার কথা বললেও, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সাফ জানান, "কোনও ইনটেলিজেন্স ফেলিওর নেই। গোয়েন্দা রিপোর্ট কোনও ব্যর্থ হয়নি।" পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, "এই সর্বদল বৈঠকের একটাই বার্তা। জাতীয় সুরক্ষার প্রশ্নে ভারতের একতায় কেউ চিড় ধরাতে পারবে না। সমস্ত রাজনৈতিক দলই ভারতের সেনাবাহিনীর জন্য গর্বিত। দেশের সার্বভৌমত্ব ও সীমান্ত রক্ষায় সেনাবাহিনীর সাহস ও ক্ষমতার প্রতি সবার পূর্ণ আস্থা রয়েছে।"


আরও পড়ুন, 'ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা সেনা আসলে কবে ঢোকে?', ২০ জওয়ানের মৃত্যুতে মোদীকে প্রশ্ন সোনিয়ার