করোনার ‘আঁতুড়ঘর’ থেকে বিমানে দেশে ফিরল ৩৩০ জন, মলদ্বীপের নাগরিকদেরও আনতে ভুলল না ভারত
মলদ্বীপের নাগরিকদের করোনা-চক্রব্যূহ থেকে উদ্ধার করা জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সে দেশের বিদেশমন্ত্রক। বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা শাহি জানিয়েছেন, ৭ মলদ্বীপ নাগরিককে উদ্ধার করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ধন্যবাদ
নিজস্ব প্রতিবেদন: আরও এক দফায় চিন থেকে ৩২৩ ভারতীয়কে দেশে ফেরানো হলো রবিবার। করোনার আঁতুড়ঘর থেকে আজ ভোর ৩.১০ নাগাদ এয়ার ইন্ডিয়া বিমানে ৩৩০ জন যাত্রীকে নিয়ে দিল্লি রওনা দেয়। এর মধ্যে ৭ মলদ্বীপের নাগরিক রয়েছেন। সকাল ৯.৪৫ মিনিটে পৌঁছয় ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে টুইটে এই খবর জানানো হয়।
মলদ্বীপের নাগরিকদের করোনা-চক্রব্যূহ থেকে উদ্ধার করা জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সে দেশের বিদেশমন্ত্রক। বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা শাহি জানিয়েছেন, ৭ মলদ্বীপ নাগরিককে উদ্ধার করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ধন্যবাদ। বিশেষ করে চিনে ভারতের দূত বিক্রম মিস্ত্রি এবং সঞ্জয় সুধীর-সহ তাঁদের দলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন আবদুল্লা।
আরও পড়ুন- ফের হানা করোনাভাইরাসের, কেরলে এ নিয়ে দ্বিতীয় জনের শরীরে মিলল মারণ রোগের জীবাণু
উল্লেখ্য, গত শনিবার উহান প্রদেশ থেকে ৩২৩ ভারতীয়কে বোয়িং ৭৪৭ বিমানে দেশে ফেরানো হয়। যার মধ্যে ২১১ পড়ুয়া এবং ৩ নাবালক। এ দিন ৬ ভারতীয়কে জ্বর থাকা দরুন প্রথম বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি চিনা অভিবাসন দফতরের তরফে। এবারও একই কারণে ৪ ভারতীকে দেশে ফেরার অনুমতি দেয়নি চিন।
করোনাভাইরাসের থাবা জুবুথুবু অবস্থা চিন। কার্যত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মৃত্যু ছাড়িয়েছে ৩০০-র বেশি। প্রায় ১৪ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত। এই ভাইরাস মোকাবিলায় পর্যাপ্ত চিকিত্সা না থাকায় দিশাহারা বেজিং। চিনের এই আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলিতে চলছে কড়া নজরদারি। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু। যার জেরে চিন থেকে আগত যাত্রীদের প্রবেশে রাশ টানছে আমেরিকা, সিঙ্গাপুর।