নিজস্ব প্রতিবেদন- চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক প্রায় তলানিতে ঠেকেছে। একে তো চিনের উহান থেকে প্রাণঘাতী ভাইরাস ছড়ানোর আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে চিনকে। আমেরিকা সরাসরি দাবি করেছে, করোনাভাইরাস চিনের ল্যাবে তৈরি। ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার এমন অভিযোগও করেছেন, চিন সঠিক সময় ভাইরাস সম্পর্কে তথ্য দিলে সংক্রমণ এড়ানো যেত। কিন্তু চিন শুরু থেকেই তথ্য গোপন করেছে। এরই মধ্যে লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা। ভারতীয় সেনা জওয়ানদের উপর চিনের সেনা কাপুরষোচিত আক্রমণের প্রতিবাদ করেছে দেশবাসী। এমনকী চিনা দ্রব্য বর্জনের দাবিও উঠেছে। যদিও ভারতের বাজারে চিনের ফলাও ব্যবসা। এই ব্যবসা বন্ধ হলে চিনের অর্থনীতিতে বড়সড় প্রভাব পড়বে। কিন্তু তার পরও ভারতের সীমান্তে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে চিন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রচারিত ‘আত্মনির্ভর ভারত’ হ্যাশট্যাগ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অর্থাত্ ব-কলমে মোদী চিনা দ্রব্য বর্জন করে দেশজ পণ্যে আস্থা রাখতে বলেছেন। এদিকে, চিনা অ্যাপ TikTok-এ ভারত সরকারের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তাই অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন চিনবিরোধী নীতি কি তবে স্রেফ জুমলা! 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- হ্যাঙ্গারে ফোন! এভাবেও অনলাইন ক্লাস হয়, দেখালেন রসায়নের শিক্ষিকা মৌমিতা



ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকের বদলে ভারত সরকার একটি অ্যাপ এনেছিল। তবে সেটি গুগল প্লে-স্টোর থেকে সরিয়ে দিয়েছে। এদিকে টিকটকে ভারত সরকারের অ্যাকাউন্টের ফলোয়ার ৯ লাখ ৩০ হাজারের বেশি। তবে ওই অ্যাকাউন্ থেকে শেয়ার করা বেশিরভাগ ভিডিয়ো হয় যোগ ব্যায়াম কেন্দ্রিক অথবা করোনা সতর্কতা বিষয়ক প্রচারের। ওই অ্যাকাউন্ট থেকে আর কাউকে ফলো করা হয় না। জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সহজে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই ওই অ্যাপ ব্যবহার করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট মহল জানিয়েছে। এরই মধ্যে অনেকে ওই অ্যাকাউন্ট ডিলিট করার দাবি তুলেছেন। তাঁদের দাবি, সরকার নিজেই চিনা অ্যাপ ব্যবহার করলে দেশবাসীর উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। চিনের প্রতি বিরোধিতা প্রদর্শনের জন্য ইতিমধ্যে অনেকেই টিকটক থেকে অ্যাকাউন্ট ডিলিট করেছেন। তাই সেই সমস্ত দেশবাসীর সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাতে এবং আত্মনির্ভর ভারত গড়তে সরকারেরও ওই অ্যাকাউন্ট অবিলম্বে ডিলিট করা উচিত বলে জানিয়েছেন অনেকে।