নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০২১ সালে বিশ্বজুড়ে আবারও সামরিক ব্যয় বেড়েছে। গত বছর বিশ্বে সামরিক ব্যয়বৃদ্ধির রেকর্ড হয়েছে। ইউরোপের দেশগুলিতে সামরিক ব্যয়বৃদ্ধির প্রবণতা সবচেয়ে বেশি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সুইডেনের স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) এক গবেষণা  অনুযায়ী, করোনা অতিমারীর মধ্যে অর্থনীতির মন্দা হলেও বিশ্বজুড়ে সামরিক ব্যয় কমেনি বরং বেড়েছে। দেশগুলি তাদের অস্ত্রাগারে অস্ত্র বাড়িয়ে নিয়েছে। গত বছর বিশ্বের সামরিক খাতে ব্যয় বেড়েছে .৭ শতাংশ।


প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর সামরিক খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ব্যয় ছিল ৮০ হাজার ১০০ কোটি ডলার। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ব্যয় ১.৪ শতাংশ কমেছে। গত এক দশকে গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় ২৪ শতাংশ বেড়েছে, তবে অস্ত্রসংগ্রহ ৬.৪ শতাংশ কমেছে।


সামরিক ব্যয়ে বিশ্বে রাশিয়ার অবস্থান পঞ্চম। ২০২১ সালে টানা তৃতীয় বছরের মতো দেশটির সামরিক ব্যয় ২.৯ শতাংশ বেড়ে ৬৫৯০ কোটি ডলারে ঠেকেছে। ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে। এর পর থেকে ইউক্রেনের সামরিক ব্যয়ও বেড়েছে ৭২ শতাংশ।


সামরিক ব্যয়ে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে আছে ভারত। ২০২১ সালে ভারতের সামরিক ব্যয় .৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছর ভারত সামরিক খাতে ৭৬৬০ কোটি ডলার ব্যয় করেছে।


যুক্তরাষ্ট্রের পরে সামরিক খাতে ব্যয়ের দিক থেকে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে চিন। ২০২১ সালে চিনে সামরিক খাতে ব্যয় ৪.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১ সালে জাপান তাদের সামরিক ব্যয় ৭০০ কোটি ডলার অর্থাৎ, ৭.৩ শতাংশ বাড়িয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সামরিক ব্যয় ৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩১৮০ কোটি ডলার। যুক্তরাজ্য সামরিক ব্যয় ৩ শতাংশ বাড়িয়ে সৌদি আরবকে টপকে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে।


রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সার্বিক ভাবে গোটা বিশ্বেই উত্তেজনার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। এর জেরে পশ্চিমি সামরিক জোট ন্যাটোর অন্যান্য দেশও সামরিক খাতে তাদের ব্যয়বৃদ্ধি ঘটিয়েছে।


আরও পড়ুন: পরিষেবা দিতে অপারগ সংস্থা, গাধাকে দিয়ে ই-স্কুটার টানিয়ে বেনজির প্রতিবাদ ব্যক্তির


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)